

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলমকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার হোতা ও ২ নম্বর আসামি যুবলীগ নেতা আনছুর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ষাইটমারা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান।
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়া ঢেমুশিয়ার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সত্তরোর্ধ্ব নুরুল আলমকে বিবস্ত্র ও মারধরের ঘটনায় সরাসরি জড়িত আনছুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহেশখালী উপজেলার ষাইটমারা থেকে।
তিনি ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান। এতদিন ধরে তিনি মহেশখালীর মাতারবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বার বার স্থান বদল করতে থাকেন। অবশেষে প্রযুক্তির সহায়তা এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
গ্রেপ্তার আনছুর আলম মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি। এ ছাড়াও ইতোমধ্যে ওই ঘটনায় জড়িত আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ার এজাহারভুক্ত আসামি মো. ফারুক,মো. বেলাল ও বদরখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ব্লকের মো. কায়সার। এ নিয়ে এই মামলায় চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি হাবিব জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিত বৃদ্ধ নুরুল আলমের ছেলে আশরাফ হোছাইন বাদী হয়ে থানায় আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছেন।
চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম জানান, আলোচিত এই ঘটনার অন্যতম আসামি ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আরেজ খাতুন, তাঁর ভাসুর বদিউল আলমসহ আরো যারা আসামি রয়েছে তাদের প্রত্যেককেও গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশের একাধিক ইউনিট তাদের গ্রেপ্তারে বিশেষভাবে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রবীণ সদস্য নুরুল আলমের ওপর বর্বর ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ মে ইউনিয়নের তেচ্ছাপাড়া সংলগ্ন সড়কের পাশে বিলের মধ্যে। কিন্তু সামাজিকভাবে বৃদ্ধ ও তাঁর পরিবার সদস্যদের হেয় করতে বিবস্ত্র করাসহ মারধরের ধারণকৃত ভিডিওচিত্রটি গত ৩ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেরাই ছড়িয়ে দেয়। এর পর সেই ভিডিও ভাইরাল হলে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।
#আরআর/পাবলিক ভয়েস