কুয়াকাটা হাসপাতালে নেই সরকারি এ্যাম্বুলেন্স : দুর্ভোগে ৪০হাজার মানুষ

প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০

কে.এম বাচ্চু, কুয়াকাটা: পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেই সরকারি এ্যাম্বুলেন্স। ফলে ইমারজেন্সি রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

কুয়াকাটার আলীপুরে গতকাল ২জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রং মিস্ত্রি মিজান (২১) নিচে পরে মারাত্মকভাবে আহত হন।

এসময় বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয় তরুণ স্বেচ্ছাসেবী কে.এম বাচ্চু ও আল-আমীন আহত মিজানকে কুয়াকাটা ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়।

রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন দেখে কুয়াকাটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নক চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী পাঠাবার নির্দেশ দেন। কিন্তু হাসপাতালটিকে এ্যাম্বুলেন্সসুবিধা না থাকায় ইমারজেন্সি রোগীকে ১ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পর্যটন নগরীর মতো একটি এলাকার হাসপাতালে যদি এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ইমারজেন্সি রোগী যে কোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।

জানা যায়, কুয়াকাটা পৌরসভাধীন হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর থেকেই চিকিৎসক সঙ্কটে রয়েছে। একজন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎক ও একজন ওয়ার্ডবয় দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম!

লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার উপকূলীয় এ অঞ্চলে ৪০হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রটির অব্যবস্থাপনার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কুয়াকাটা পৌরসভা, লতাচাপলী ইউনিয়নের কচ্ছপখালী, নবীনপুর, পাঞ্জুপাড়া, পশ্চিম কুয়াকাটা, শরীফপুর, মস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরসহ আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা।

/এসএস

মন্তব্য করুন