

পুরো পৃথিবীই আজ অসুস্থ। চারদিক লকডাউন। পাড়ার দোকানটাও খুলছে না৷ চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে, বন্ধুদের সাথে যে একটু আড্ডা দেব, সেসুযোগটাও নেই। করোনার ভয়াল থাবায় পুরো বিশ্বে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
‘ছিন্নমূল মানুষগুলো ক্ষুধার তীব্র যন্ত্রণায় ধুঁকে-ধুঁকে মরছে। অর্ধাহারে হলেও তারা বাঁচতে চায়। একটু শান্তিতে বাঁচতে চায় অল্প কিছুদিন। বাঁচার উপায় খুঁজতে গিয়ে অধিকাংশ মানুষই আজ হিমশিম খাচ্ছে। কারণ, বন্ধ হয়েছে আয়ের উৎস।
দুমুঠো আহার জোগাড় করার জন্য তাদের হাতে নেই কোনো অর্থকড়ি। পকেট ফাঁকা। তাই বলে তো আর পেটের চাহিদা বন্ধ হয়নি। ক্ষুধার যন্ত্রণা বারংবার ব্যথিত করছে ওই ক্ষুধার্ত অনাহারীকে। যেভাবেই হোক, ক্ষুধা নিবারণ করতেই হবে। কিন্তু কিভাবে করবে? আছে কী উপায়? কিংবা কোনো মাধ্যম?’।
সময় থমকে না যাওয়ার ফলে, রমজান শেষে খুশির বার্তা নিয়ে ঠিকই ঈদ এসেছে। তবে, আমরা কী পেরেছি এই খুশির বার্তাকে স্বাদরে গ্রহণ করতে? কিংবা হেসেখেলে ঈদকে বিদায় জানাতে? হয়তো এক জবাবে, ঐকতানে সকলেই বলতে বাধ্য হবো যে—‘না, আমরা কোনোটাই পারিনি। বরঞ্চ ব্যর্থ হয়েছি। কারণ, যার ভেতর ক্ষুধার যন্ত্রণা নেই, তার ভেতর আছে করোনার আতঙ্ক।
তাই ঈদ আমাদের কাছে স্বাভাবিক দিনের মতোই একটি দিন। বরং তারচেয়েও বিষাদময়।
লেখক: মাহদী হাসান রিয়াদ
/এসএস