
এর আগে ওএমএস এর ৭৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছিলো তার গোডাউন থেকে। যদিও সেসময় তিনি দাবি করেছিলেন গোডাউন করা দোকানের মালিক তিনি হলেও ভাড়াটিয়ার চাল লুকানোর সাথে তার কোনো সম্পর্ক ছিলো না। সেই তিনিই এবার জড়িয়ে গেলেন গরীবের আড়াই হাজার টাকার তালিকাতেও।
তিনি জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক এবং জেলা পরিষদের সদস্য। বিতর্কিত এ জনপ্রতিনিধি হলেন মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হতদরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তার তালিকায় জামালপুর জেলা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান দুলালের মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করা হয়েছে।
জামালপুর সদর উপজেলার ১১নং শাহবাজপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সরকারি সহায়তার তালিকায় এক গরিব-অসহায় মহিলার নামের পাশে তার মোবাইল নম্বর যুক্ত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তূণমূল পর্যায়ে ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শাহবাজপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ত্রান কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত করা হয় হাবিবুর রহমান দুলালকে।
এছাড়াও তালিকায় আরো একাধিক কারচুপির প্রমাণ পাওয়া গেছে। জেলা পরিষদের ওই সদস্য ছাড়াও দুইজন গরীব ব্যক্তির মোবাইল নম্বরের জায়গায় ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তারের মোবাইল নম্বর এবং তার স্ত্রীর মোবাইল নম্বর সংযুক্ত পাওয়া যায়।
এছাড়াও প্রস্তুতকৃত তালিকায় একজনের নাম ব্যবহার করে অন্য আরেকজনের মোবাইল নাম্বার ব্যবহারের অনেকগুলো প্রমাণ পাওয়া যায় প্রকাশিত তালিকায়।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদা ইয়াছমিন জানান, এই তালিকার নম্বরসমূহ কয়েক দফায় সংশোধন করার পর ১৬মে সাবমিট করা হয়েছে। কোনো নম্বর একাধিকবার সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে, তবে লিখিত অভিযোগ জানালে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমান দুলাল এর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট খবর: জামালপুরে চোরের খনি: ব্যবসায়ী ও নেতাদের গুদাম থেকে উদ্ধার ৩৮৯ বস্তা!
/এসএস
		
