

‘নেই কাজ তো খই ভাঁজ কিংবা অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা। কোনো কাজ নেই তো আকাজ করো। মানুষের মাঝে দ্বন্ধ-ঝগড়া লাগাও। একজনের বিরুদ্ধে অন্যজনকে উস্কে দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করো। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করো।’
বরিশালের বাকেরগঞ্জ গারুড়িয়া ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিনা বেগম এর কাজটা যেন ঠিন এমনই। গ্রামের বিভিন্ন মানুষের উপর অপবাদ দেয়া আর পারস্পরিক বিভেদ উস্কে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তার কাজ। তার সীমাহীন নির্যাতনে রীতিমতো অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এমনকি তার মেয়েও তাকে সঙ্গ দেয় এই কাজে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় নানান অজুহাতে এলাকার মানুষদেরকে গালি গালাজ ও নানা অপরাধমূলক অপবাদ দিয়ে থাকেন। এবং বিভিন্ন ইস্যুতে এলাকার মানুষদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানী করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মুরুব্বি বলেন, আমাদের সম্মান আছে, তাই বলে আমরা তাকে কিছু বলতে পারি না। সে আমাদের এলাকার লোকদের নামে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে থাকেন।
গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার চাকুরিজীবি বলেন, আমরা ঢাকায় থাকি। সারাদিন কাজে ব্যাস্ত সময় কাটে। এর ভিতর ফেসবুকে ঢুকলেই দেখি, রিনার মেয়ে ফেসবুকে ফেইক আইডি দিয়ে আমাদের ফ্যামিলির নামে নানান মিথ্য অপবাদ রটায়। এতে করে আমাদের সম্মানহানিসহ নানাবিদ হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানিয়েও কোনো লাভ হয় না। কারো কথায় কোনো কান দেয় না।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, রিনা আমার স্ত্রীকে ভুলভাল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে উস্কে দেয়। এবং আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার ভাইদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়েছে। আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
একজন প্রবীণ মুরব্বী বলেন, রিনা বেগম সারাদিন পাশের গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ রটায়। এ বিষয় এলাকার জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আলাউদ্দিন বলেন, আমি ওই মহিলার ব্যাপারে একটা কথাই বলবো- সে একটা বেআদব। সে করোর কথা শুনে না। আমি তার দ্বারে কাছেও যাই না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই নারী ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর মোল্লার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
/এসএস