বৃদ্ধা মাকে ফেলে গেছে স্বজনরা: বাসস্টান্ডেই মৃত্যু, দাফনে ইকরামুল মসুলিমীন

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি

প্রকাশিত: ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২০

করোনা উপসর্গ নিয়ে বাসস্টান্ডে দুইদিন পড়ে থেকে সেখানেই মৃত্যু হয় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বৃদ্ধার। মৃত্যুর পর বাসস্টান্ডেই পরে থাকে প্রায় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলার লাশ। পরে প্রশাসনের সহায়তায় অজ্ঞাত হিসেবেই লাশ কাফন-দাফন করেছে সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন’।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীতে। গতকাল শনিবার (৯ মে) সকালে রাজবাড়ী সদরের বসন্তপুর বাসস্টান্ডে অজ্ঞাত ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

জানা যায়, দু’তিনদিন আগে করোনা উপসর্গ থাকা ওই বৃদ্ধাকে তার স্বজনরা রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর বাসস্টান্ডে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে অবহেলা-অনাহারে পরেছিলেন ওই বৃদ্ধা। ওই অবস্থাতেই গতকাল শনিবার সকালে মহিলার মৃত্যু হয়।

পরে সদর থানা পুলিশ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহায়তায় অজ্ঞাত হিসেবে জানাযা-কাফনের পর বসন্তপুর ঈদগা কবরস্থানে লাশ দাফন করে সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন’ রাজবাড়ী জেলা টিম।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজ রোববার রাত সোয়া আটটায় রাজবাড়ী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরুল ইসলাম পাবলিক ভয়েসকে জানান, অজ্ঞাত ওই মহিলার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আগামীকালকে রিপোর্ট পাওয়া যেতে পারে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো ওই মহিলার পরিচয় পাইনি। সদর থানা পুলিশ চেষ্টা করছে মহিলার পরিচয় ও স্বজনদের খুঁজে বের করতে। অজ্ঞাত অবস্থায় মৃত্যু হয়ে পড়ে থাকার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সদর থানা পুলিশ ও ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

জানাযার আগে ইকরামুল মুসলিমীন রাজবাড়ী জেলা টিম

‘ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন’ রাজবাড়ী জেলা টিমের প্রধান সমন্বয়ক হাফেজ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘শনিবার বিকেলে সদর থানা থেকে আমাদেরকে ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয়। পরে রাত প্রায় ১১টার দিকে আমরা ঘটস্থালে পৌঁছে মহিলার লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। সদর থানা পুলিশ বিশেষ করে ওসি (অফিসার ইনচার্জ) স্বপন কুমার মজুমদার ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসার আমাদের সাথে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন’।

আব্দুল্লাহ জানান, জানাযা-দাফনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, হাফেজ ইকরাম হোসাইন, হাফেজ মাওলানা নুরুল ইসলাম, মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান  ও মুহাম্মাদ দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

/এসএস

মন্তব্য করুন