

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে সভাপতির ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনরক্ষার পাশাপাশি সকারকে মানুষের জীবিকাকেও রক্ষা করতে হয়, সে কারণে জীবন ও জীবিকা দুটোই রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে নানাভাবে সহায়তার আওতায় এনেছে। বৈশ্বিক এই দুর্যোগের সময় পৃথিবীর খুব বেশি দেশে এভাবে এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হয়নি।’
স্পেন, ইতালি, সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর অনেক দেশে যেখানে এখনো প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনশ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, সেখানেও লকডাউন শিথিল করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘জীবনরক্ষার জন্য মানুষের জীবিকাকেও রক্ষা করতে হবে। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এসব কারণে সরকারের পক্ষ থেকে দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে আগামী ১০ মে থেকে খোলার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে স্বাস্থ্যসুরক্ষার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’
‘মার্কেট ও মসজিদ খুলে দেওয়ায় সংক্রমণ বাড়বে কিনা’ সাংবাদিকের এ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই যদি সম্মিলিতভাবে মানুষকে সচেতন করতে পারি, তাহলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অনেক সহজ হবে। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীরা শুরু থেকেই প্রচার চালাচ্ছেন, যাতে কেউ অপ্রয়োজনে বাজারে না যান। মানুষ যাতে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট ও মসজিদে যান।’
করোনা সঙ্কটে চট্টগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় আরো বক্তব্য দেন ওয়াসিকা আয়োশা খানম এমপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির ও সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।