প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২০

সাজ্জাদুল তুহিন নওগাঁ সংবাদদাতা: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। ধান ক্রয়ে কোনো রকম রাজনৈতিক বা মধ্যসত্ত্বভোগীদের প্রভাব যেন না পড়ে। লটারিতে যেসব কৃষকের নাম উঠবে সুযোগ নিয়ে তারা তাদের কার্ড মধ্যসত্ত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না। যদি বিক্রি করার প্রমাণ মেলে কৃষি কার্ড বাতিলসহ চিরদিনের জন্য তিনি সরকারি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এছাড়া যিনি কার্ড কিনবেন তিনিও মোবাইল কোর্টের আওতায় আসবেন।

বৃহস্পতিবার (০৭ মে) দুপুর নওগাঁ সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী চাল-কল মালিকদের উদ্দেশে বলেন, যেহেতু বোরো মৌসুমে সরকার চাল ক্রয় করছে, সেহেতু পুরোনো চাল পালিশ করে খাদ্যগুদামে প্রবেশের চেষ্টা করবেন না, যা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। পোশাক কারখানার মালিকরা যেমন প্রণোদনা পাবেন তেমনি চালকল মালিকরা প্রণোদনা পাবেন কি-না তা নিয়ে অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাজের হাসান, সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এমএ খালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী দিনে উপজেলার এমকে অটোরাইচ মিলের স্বত্বাধিকারী খলিল উদ্দিন ১ হাজার ৭৮৩ বস্তা এবং আলহেরা রাইচমিলের স্বত্বাধিকারী জাহিদ হোসেন ৬০০ বস্তা চাল গুদামে প্রবেশ করান। সদর উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বোরো ধান ২৬ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ২০৩ মেট্রিক টন, সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার ৭৯৮ মেট্রিক টন, আতব চাল ৩৫ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ১১ মেট্রিক টন এবং ২৮ টাকা কেজি দরে ১৫৫ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা হবে।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী বলেন, জেলায় সিদ্ধ চাল ৪৯ হাজার ২৬০ মেট্রিক টন, আতব চাল ৬ হাজার ৫১ মেট্রিক টন, ধান ২৩ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন এবং গম ৪ হাজার ৬৫১ মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া জেলার ৫৩টি অটোরাইচ মিলের মধ্যে ৫১টির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ধান কেনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খাদ্য বিভাগের সব নির্দেশনা মেনে কাজ করা হবে।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন