
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আজ সোমবার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো সাধারণ ছুটি আরো ১১ দিন বাড়ানো হয়েছে। তবে এই সময়ে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না। এ ছাড়া আসছে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ১৬ মে পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি থাকবে। তবে এ সময়ে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না। সেইসঙ্গে আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়া যাবে না। তাছাড়া এই সিদ্ধান্ত শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্য নয়, বরং সকল মানুষের জন্য।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, যে যেখানে আছেন, সেখানেই এবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হবে। প্রজ্ঞাপন শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নয়, বরং দেশের সকল মানুষের জন্য বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সকল আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বিশেষ বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখা হবে।
অন্যদিকে, এই সময়ে জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবা ও সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীদের ছুটি বাতিল থাকবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামীকাল থেকে সীমিত পরিসরে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকানপাট ও শপিংমল। তবে শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এমএম/পাবলিকভয়েস

