আনসারী (রহ.) জানাযায় উপস্থিত কেহই করোনা আক্রান্ত হয়নি

প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০২০

ব্রাহ্মনবাড়িয়ার সরাইলে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী রহ.-এর আলোচিত সেই জানাজায় এলাকার বাসিন্দাদের কারও শরীরে করোনার উপসর্গ মেলেনি।

জাননাযার পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন দেওয়া হয়েছিলো। সারাদেশেও চলছিলো বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা।

এর মধ্যেই আজ শনিবার শেষ হচ্ছে তাদের কোয়ারেন্টিন।

সন্ধ্যায় তাদের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মো. মুসা। তিনি জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ১৮ এপ্রিল বেড়তলা গ্রামের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা মাঠে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজার নামাজে লাখো মানুষের সমাগম হয়।

মাঠে জায়গা না পেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জানাজার নামাজ পড়ে মানুষ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১১ এপ্রিল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলা লকডাউনের মধ্যেই বিপুল এই জনসমাগম হয়েছিলো।

তাই ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে বেড়তলাসহ কয়েকটি গ্রাম ও আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। কেউ যেন ঘর থেকে না বের হন সেজন্য গ্রামগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

কোয়ারেন্টিন চলাকালে কেউ যেন ঘর থেকে বের না হন সেজন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে যুব সমাজদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্যরা নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেন। তবে কোয়ারেন্টিনের এই ১৪ দিনে গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে সেভাবে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, বেড়তলাসহ কোয়ারেন্টিনে থাকা অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সেভাবে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মো. মুসা বলেন, কোয়ারেন্টিনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে পুরো উপজেলা আমরা যেভাবে তদারকি করি সেভাবেই বেড়তলাসহ অন্যান্য গ্রামগুলোকে তদারকি করা হবে।

তবে গ্রামগুলোতে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত :, গত ১৭ এপ্রিল বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে জানাযায় অধিক লোকের সমাগম না করার আহবান জানানোর পরও লাখো লাখো মানুষ এসেছিলেন মাওলানা আনসারীর জানাযায়।

#আরআর/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন