
কিছু অনুভূতি আছে যার কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায় না। সমাজের বিত্তবানরা যখন লিপ্ত নানা দুর্নীতিতে ঠিক তখন আমরা দেখতে পাই কিছু মানুষের অব্যক্ত অনুভূতি। বেশ কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি ভিক্ষা করে জমানো ঘর বানানোর টাকা দিয়ে কেড়ে নিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর মন।
হুইল চেয়ারের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না প্রতিবন্ধী বাদশা খান। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতি মাসে ভাতা পান ৬০০ টাকা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্ভোগ দেখে নিজের অসহায়ত্বের কথা ভুলে গেলেন তিনি। অসহায়দের সাহায্য করার জন্য নিজের জমানো পাঁচ হাজার টাকা দান করে দিলেন সিটি কর্পোরেশনের ত্রাণ তহবিলে।
গতকাল বুধবার বিকেলে ওই টাকার রশিদ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনের হাতে তুলে দেন তিনি।
জানা যায়, মা, ভাই, স্ত্রী ও কন্যা নিয়ে বরিশাল নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজেরা খাতুন স্কুল সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন বাদশা। নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি ছোটখাটো দোকানও রয়েছে তার। দেশের এ সংকটকালে অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন এই মহান মানুষটি। দান করেছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের থেকে পাওয়া ভাতার ৩ হাজার টাকা এবং ব্যক্তিগতভাবে জমানো ২ হাজার টাকা।
বাদশা বলেন, দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে জমানো কিছু টাকা দিয়ে তিনি এবং তার পরিবার কোনোভাবে দিন চালিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু তার থেকেও কষ্টে আছেন অনেকে। তাই অসাহায়দের সাহায্যের জন্য সামান্য কিছু টাকা দিয়েছেন তিনি। ওই টাকায় যদি পাঁচ জন দরিদ্র মানুষের দুই বেলা খাবার ব্যবস্থাও হয়, তাতেই তিনি খুশি।
এমএম/পাবলিকভয়েস

