করোনা পরিস্থিতিতে মানবসেবায় ভূমিকা রাখছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলো’

প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২০

পুরো বিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ থাবায় বিপর্যস্ত। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও আজ চরম হুমকির মুখে। ইতিমধ্যেই সরকার করোনা মোকাবেলায় নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। দেশের যে কোন দুর্যোগে অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের মতো ডেমরার ঐতিহ্যবাহী সেচ্ছাসেবী সংগঠন “আলো” এগিয়ে এসেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় এই করোনা দুর্যোগে “আলো” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এগিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন তারা। এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলা যারা নিজেদের কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারে না নিজেদের আত্নমর্যাদা কথা চিন্তা করে। তাদের দ্বারে দ্বারে খাবার পৌছে দেওয়ার কাজ করেছে তারা।

সমাজের বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষদের কথা চিন্তা করেই “আলো” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করোনা সংকটে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়।
প্রথমেই পবিত্র কোরআন শরীফ খতম দিয়ে করোনা দুর্যোগ থেকে বিশ্ববাসীর জন্য দোয়া করা হয় মহান প্রভুর কাছে। সচেতনতা মূলক বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা, বিনামূল্যে হ‍্যান্ড স‍্যানিটাইজার বিতরণ, ধারাবাহিকভাবে জীবাণু নাশক স্প্রে ছিটানো ও খাদ‍্য সামগ্রী উপহার হিসেবে পাঠানো হয় দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে চলা পরিবারগুলার মাঝে।

দিন মজুর ও রিক্সা চালক শ্রেনীর মানুষগুলা যারা কাজের সুবাধে ঘরের বাইরে যেতে হয় তাদের জন্য “আলো” সংগঠনের পক্ষ থেকে ৫০০টি হ‍্যান্ড স‍্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়। এবং তাদের করোনা সম্পর্কে সচেতন করা হয়।

দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে যে সকল পরিবারের সংসার চলে তারা কর্মহীন হয়ে পরায় তাদের পরিবারগুলা না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছিলো। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত কিছু পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী উপহার পাঠাব।
করোনা দুর্যোগে শ্রমজীবী পরিবারগুলার দায়িত্ব নিন ইভেন্টের মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ শুরু করা হয়।

প্রথমে ৩০০ পরিবারের টার্গেট থাকলেও পরবর্তীতে তা ৬০০ পরিবারে উন্নিত করা হয়। সামজিক দূরত্ব বজায় রাখতে একদল দক্ষ টিম রাতের গভীরে এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তথ‍্য সংগ্রহ ও তথ্য যাচাই বাছাই করে উপহার পাওয়ার যোগ্য এমন পরিবার চিহ্নিত করেন।

অনুদান সংগ্রহ শেষে বিভিন্ন পরিবারের মাঝে সব মিলিয়ে ২৭৫০ কেজি চাল, ১২০০ কেজি আটা, ১২০০ কেজি আলু, ৬০০ কেজি পিঁয়াজ, ৬০০ কেজি ডাল, ৬০০ লিটার সয়াবিন, তেল ও ৩০০ কেজি লবণ বিতরণ করা হয়।

উক্ত কার্যক্রমে আমরা ভিড় এড়াতে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বিতরণের তালিকার তথ্য সংগ্রহ,প্যাকেজিং এবং খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এই কাজগুলা রাতে করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

রাত ৮ টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত ২ দিনে কয়েকটা টিমে ভাগ করে সদস্যদের মাধ্যমে (খাদ্য সামগ্রী) “আলো”র উপহার তালিকা অনুযায়ী ৬০০ শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।

১ম ধাপের উপহার বিতরণ শেষে তারা দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে বলেন, এই দুর্যোগে আমারা কে কোথায় থাকি জানি না। বেঁচে থাকবো কি না জানি না। আসুন না এই কঠিন মুহুর্তে মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াই অল্প কিছু অনুদান দেই আপনাদের অনুদানে না খেয়ে থাকা পরিবারগুলার আহারের সুযোগ হবে। আলো সংগঠনের ব্যাপারে সার্বিক তথ্য পেজে ফেসবুক পেজ ফলো করতে পারেন।

পেজ লিংক :  https://www.facebook.com/aalo71/

মন্তব্য করুন