নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ, দেশব্যাপী সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা

প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২০

দেশে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকার পরই আছে নারায়ণগঞ্জ। ইতোমধ্যে জেলাটিকে ক্লাস্টার (এক জায়গায় একসঙ্গে কয়েকজন আক্রান্ত) হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কারণ এখান থেকে যাওয়া মানুষের মাধ্যমেই দেশের অন্যান্য অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে।

তাই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৮ এপ্রিল জেলাটিকে লকডাউন করে দেয়া হয়। তারপরও গত কয়েকদিনে রাতের আঁধারে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়েছেন অসংখ্য নিম্ন আয়ের মানুষ। করোনার আতঙ্কে পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, বাল্কহেডে (পণ্যবাহী জাহাজ) করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত মানুষ নিজ জেলায় চলে যাচ্ছেন।

এতে করে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ দেশে যত সংক্রমণ হচ্ছে সেগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, অধিকাংশই নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য এলাকায় গেছেন। পাশাপাশি তাদের থেকে অন্যরাও সংক্রমিত হচ্ছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ দিনে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক শ মানুষকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লা থেকে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে তাদের বহনকারী ৭টি পিকআপ, ১টি ট্রাক ও ১টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। এ ছাড়া গত কয়েকদিনে আরো পাঁচ শতাধিক মানুষকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের সবাইকে নিজ বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে পড়ায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। তাই আতঙ্কে তারা পালিয়ে যাচ্ছেন।

মানুষের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে দাবি করে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ইতোমধ্যে সড়ক ও নৌ-পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লকডাউনের পর থেকেই জেলার প্রত্যেকটি স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা বলেন, মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রত্যেকটি স্থানে ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালাচ্ছেন। তারপরও কিছু মানুষ বের হয়ে যাচ্ছেন। তবে লকডাউনের পর এই সংখ্যা কমেছে।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন