
ভোলা প্রতিনিধি: দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পুরোদেশে লকডাউন চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনিক দপ্তরগুলো বাদে সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিসও বন্ধ রয়েছে।
করোনার ঝুঁকি এড়াতে মানুষ কাগজের পত্রিকা পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাই গত তিন সপ্তাহের বেশী সময় ধরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলায় পত্রিকা আসা বন্ধ রয়েছে। যার কারণে ভোলার প্রায় শতাধিক সংবাদপত্র বিপননকারী (হকার) বেকার হয়ে পড়েছে।
তাদের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম সংবাদপত্র বিক্রি বন্ধ থাকায় অসহায় দিন কাটছে তাদের। বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষ সরকারি বেসরকারি অনুদান পেলেও তাদের কোনো খোজ নিচ্ছে না কেউ। এ অবস্থায় তাদের পরিবারগুলো এক প্রকার অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে।
ভোলা সংবাদপত্র হকার সমিতির সভাপতি মো. সুমন জানান, ভোলা জেলায় মোট সংবাদপত্র হকারদের সংখ্যা ১১৭ জন। এদের মধ্যে ভোলা সদরে রয়েছে ২৬ জন। বাকীরা বিভিন্ন উপজেলার। এরা সবাই পত্রিকা বিক্রি করে তাদের সংসার চালায়। কিন্ত গত চার সপ্তাহ ধরে পত্রিকা বিক্রি বন্ধ থাকায় হকারদের পরিবারগুলা অসহায় হয়ে পড়েছে।
এর মধ্যে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক ২৫ জন হকারের জন্য ৫ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, দুই কেজি আলু ও একটি করে সাবান দিয়েছেন। কিন্তু এ দিয়ে একটি পরিবার একদিন চলতে পারে। বাকী দিনগুলো তাদের কিভাবে চলে। তাই তিনি সরকার ও বিত্তশালীদের কাছে এ দুঃসময়ে হকাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সকলের সহযোগীতা পেলে এ দুঃসময়ে পরিবার নিয়ে দুমুঠো ভাত খেয়ে বেচে থাকতে পারবেন তারা।
এদিকে ভোলায় করোনা সন্দেহে আরো একজনকে সদর হাসপাতলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ভোলার শহরের ভদ্র পাড়া এলাকার এক বাসিন্দা জ্বর, কাশি, সর্দি ও শরীর ব্যাথা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে তাকে রাতেই আইসোলেশনে রাখা হয়। শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী।
তিনি আরো জানান, গত ৯ দিনে ভোলা জেলায় ১০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪০ জনের রিপোর্ট পেয়েছি তাদের সবার রিপোর্ট লেগেটিভ এসেছে।
উল্লেখ্য, ভোলার সাত উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৭১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৭৭ জনের হোম কোয়ারেন্টইন শেষ হয়েছে। বর্তমানের ১৪১ জন হোম কোয়ারেন্টইনে রয়েছে।
/এসএস

