বিকল্প শক্তি গড়তে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি: আইয়ূবী

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯

বাংলাদেশের মানুষ ওলামায়ে কেরামকে এখনও ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন, বিশ্বাস করেন। ওলামায়ে কেরামের ওপর গণমানুষের আস্থাও প্রবল। কিন্তু ওলামায়ে কেরাম সংগঠিত না হওয়ার কারণে রাজনৈতিকভাবে তাঁদের ওপর নির্ভর করতে পারছে না সাধারণ মানুষ।

এজন্য ওলামায়ে কেরামের উচিৎ টুকটাক মতভেদ পাশ কাটিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও ওলামায়ে কেরামের মাঝে আকিদাগত বা বিশ্বাসগত কোনো মতপার্থক্য নেই।

রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করেছেন ওলামায়ে কেরাম। আবার কোনো কোনো ওলামায়ে কেরামের দল এককভাবে নির্বাচন করেছেন। আমি কোনোটারই বিরোধিতা করি না। এটা ওলামায়ে কেরামের রাজনৈতিক ইজতিহাদ বা গবেষণা। সেখানে আমার পক্ষ-বিপক্ষ মতামত নেই।

সমস্ত ওলামায়ে কেরামকে আমি আমার মানুষ মনে করি। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও দেওবন্দী আকীদাসম্পন্ন যতোগুলো ইসলামী দল আছে, সবগুলোই আমার দল বলে মনে করি।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করে ইসলামের যে কোনো ফায়দা নেই তা এখন স্পষ্ট। দুনিয়ামুখী দলগুলোর মাঝে ইসলামী কোনো স্বার্থ নেই শুধু ব্যক্তি ও দলের ফায়দা ব্যতিত। আল্লামা শাহ আহমদ শফী হাফিজাহুল্লাহ’র নারীশিক্ষা সংক্রান্ত বক্তব্যের পর তা আরো স্পষ্ট হলো।

আমি মনে করি আলাদা একটি শক্তি গড়ে তোলার জন্য ওলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এক ব্যানানে ওলামায়ে কেরামের নতুন ও বিকল্প প্লাটফর্ম অত্যন্ত জরুরী। দেশের সাধারণ মানুষ এখন অধীর আশা নিয়ে বসে আছে ওলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম দেখবে বলে। ওলামায়ে কেরাম যদি সামান্য মতভেদগুলোকে দূরে ঠেলে গণমানুষের মনের ভাষাটা বোঝার চেষ্টা করতেন তাহলে আরও আগেই ঐক্য হয়ে যেত।

বিকল্প শক্তি হিসেবে ওলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবী। সেই শক্তির ছায়ায় এ দেশটাকে নতুন করে গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।

মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী। বরেণ্য ওয়ায়েজ, আলেমেদীন, খতীব।

মন্তব্য করুন