

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এক সদস্যের শরীরে কোভিট-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। ওই র্যাব সদস্যকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এদিকে ওই র্যাব সদস্যের সংস্পর্শে আসা শ্বশুরবাড়িসহ ১৫ বাড়ি ও দোকান লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়া এলাকায় করোনা রোগীর শ্বশুরবাড়িসহ দোকানগুলো লকডাউন করেন।
এর মধ্যে রয়েছে পল্লানপাড়া এলাকায় ছয়টি বাড়ি, ফার্মেসি, প্যাথলজি সেন্টারসহ সাতটি দোকান ও শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় একটি বাড়ি। তবে এসব বাড়িতে কতজন বাসিন্দা রয়েছে তা জানা যায়নি।
এসময় টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে একটি দলও সেখানে ছিলেন।
ইউএনও সাইফুল ইসলাম জানান, ঢাকায় করোনা শনাক্ত র্যাব সদস্যের শ্বশুরবাড়ি টেকনাফে। কয়েকদিন আগে তিনি এখানে বেড়াতে এসে বেশ কয়েকদিন অবস্থান করেন। পরে ঢাকায় ফিরে গিয়ে করোনা শনাক্ত হয় তার শরীরে। ফলে তার সংস্পর্শে আসা ১৫টি বাড়ি ও দোকান লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
কনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, গত ২০ মার্চ ঢাকা থেকে র্যা ব সদস্য আক্কাস টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়া এলাকায় শ্বশুর আবদুর রহিম লালুর বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান।
সেখানে থাকাকালীন তিনি সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে ফার্মেসি-ও প্যাথলজি সেন্টারে চিকিৎসা করেন। পরে তিনি গত ২৬ মার্চ টেকনাফ থেকে ঢাকায় ফিরে কর্মস্থলে যোগ দেন।
ঢাকায় ফিরে সর্দি, জ্বর ও কাশি আরও বেড়ে গেলে ৩ এপ্রিল ঢাকায় পরীক্ষা করলে কোভিট-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়। এসময় তাকে আইসোলেশনে নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, লকডাউন করা বাড়ির বাসিন্দাদের শনিবার নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। যুগান্তর।