
সর্দি লাগায় শশুরবাড়িতে জায়গা হয়নি গৃহবধূ পারভীন আক্তার এর। শশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর বাপের বাড়ি গেলে সেখানে ঠাঁই মেলেনি ধামরাইয়ের ওই গৃহবধূর। বাধ্য হয়ে স্কুল-মাদরাসার পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় রাতযাপন করতে হয় পারভীনকে।
অবশেষে পারভীনকে আশ্রয় দিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। ঠাণ্ডা-কাশিজনিত রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে ওই গৃহবধূকে শ্বশুরালয় থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর পিত্রালয়ে গেলে সেখানেও তার ঠাঁই মেলেনি।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি নজরে আসে ইউপি সদস্য মো. রেজাউল করিমের। তিনি ওই গৃহবধূর কাছে ঘটনার বিবরণ শুনে তাকে শ্বশুর ও পিত্রালয়ে নিয়ে গেলে তারা গৃহে স্থান দিতে রাজি হননি। ফলে ওই ইউপি সদস্যই গৃহবধূকে আশ্রয় দেন তার বাড়িতে।
শুক্রবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে তার দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জীবাণুর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তার ঠাণ্ডা কাশিও তেমন মারাত্মক নয় বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডা. নুর ইফফাত বলেন, আল্লাহর রহমতে ধামরাইয়ে এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। ভালো আছেন ধামরাইয়ের মানুষ। সরকারি নির্দেশনা মেনে চললে আশা করি ধামরাইবাসী ভালো থাকবেন।
/এসএস

