অগ্নিসংযোগে মাদক আস্তানা গুড়িয়ে দিলেন সোনারগাঁওয়ের ইউএনও

প্রকাশিত: ৫:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০

সোনারগাঁওয়ে অগ্নিসংযোগ করে মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম। উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামসংলগ্ন বিলে জুয়ার আসর মাদক বিক্রির স্পটের খবর পেয়ে ছুটে যান ইউএনও।

পুলিশ নিয়ে অভিযানে পরিচালনা করতে গেলে টের পেয়ে জুয়ারিরা পালিয়ে গেলেও মাদকের আস্তানা আগুনে পুড়িয়ে দেন এই কর্মকর্তা।

কথায় আছে চোর শোনে না ধর্মের কাহিনি। করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশের মানুষ যখন এক অর্থে গৃহবন্দি, তখন একশ্রেণির জুয়া ও মাদকসেবী তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে।

সরকারি ছুটি ও সারা দেশে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা এবং ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ব্যস্ত ভেবে ওই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার অনেক মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়িরা।

সোনারগাঁওয়ের ওই এলাকাতেও তেমন পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। খবর পেয়ে গত সোমবার রাতে পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও মো. সাইদুল ইসলাম।

এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়ি, মাদক বিক্রেতা ও নেশা খোড়রা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম জুয়া ও মাদকের আস্তানা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেন।

এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্থি ফিরে আসে। অভিযানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন ও নোয়াগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান।

সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম জানান, নোয়াগাঁও ইউপির এক সদস্যের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি বাহিনী নোয়াগাঁও গ্রামের বিলে প্রতি রাতে জুয়ার আসর ও মাদকের হাট বসাচ্ছিল।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত ও সাধারণ মানুষ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে জেনে এ বাহিনীর সদস্যরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

তিনি জানান, মাদক বিক্রি ও জুয়ার আসরের মূলহোতা এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে তার বাহিনী ওই এলাকায় সাধারণ কৃষকদের কৃষিজমির মাটিও জোরপূর্বক অবৈধভাবে কেটে নিয়ে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপরাধীদের মাটি কাটার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। জুয়ার আসর বসানো, মাদক বিক্রি ও জোরপূর্বক অবৈধভাবে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

/এসএস

মন্তব্য করুন