বিজিবি-পুলিশের পৃথক পৃথক বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪

প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২০

২৭ মার্চ, শুক্রবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সঙ্গে, কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক পৃথক দুটি  ‘কথিত বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বিজিবি’র সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন এবং পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, নিহতদের মধ্যে তিন ব্যক্তিই মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসছিল বলে ।

এ বিষয়ে কর্নেল আরও জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার বড় চালান টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে, এমন গোপন সংবাদের খবরে বিজিবির একটি বিশেষ টিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার ছ্যুরিখাল নামক এলাকায় নিকটস্থ নাফনদী এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় একটি নৌকায় ৪-৫ জন লোক ওই এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। তাদের দেখে সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি’র উপস্থিতি বুঝতে পারে। এরপর স্বশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়।

তিনি  বলেন, এ সময় বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা গুলি করতে করতে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে কেওড়া বাগানের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত তিনজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। এরপর তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি বন্ধুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি গুলির খালি খোসা, ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অপরদিকে শুক্রবার রাতে পুলিশের সঙ্গে আরেকটি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুছা আকবর (৩৬) নামে আরো এক ব্যক্তি নিহত হয়। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের তুলাতুলী এলাকায়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, ‘বিজিবি ও পুলিশ গুলিবিদ্ধ চার ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। আহত বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন