

কাওছার আহমেদ, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ প্রান হানির অশনি সংকেতে মানুষ ঘরবন্ধী হওয়ায় পটুয়াখালী জেলা শহর এখন ভুতুড়ের শহরের পরিনত হয়েছে।মানুষ এখন সতর্ক হওয়ায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ অনেকটা সম্ভব হচ্ছে এমনটাই ধারনা করছেন সচেতন মহল। আশার কথা সারা পটুয়াখালী জেলায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর না পাওয়া গেলেও মানুষ স্বস্তিতে নেই।
করোনাভাইরাসে প্রভাবে বিদেশসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে হাজার হাজার মানুষের নীড় তথা পটুয়াখালীতে আগমন ঘটায়। আর এই আগমন যেন মানুষের মাঝে আতঙ্কের নতুন কারণ হয়ে দাড়ায়। এ কারনেই মানুষ স্ব-ইচ্ছায়, স্ব-উদ্যোগে ছেলে-মেয়ে, পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরের বাহির হচ্ছেন না। বলতে গেলে জেলার প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে।
এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসন ২৬ মার্চ হতে ১০ দিন পর্যন্ত কাঁচা বাজার, ফার্মেসী, মুদী দোকান ব্যতিত সকল দোকানপাঠ বন্ধ রাখার ঘোষনায় সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, অফিস আদলত বন্ধ রয়েছে। তাই শহরের রাস্তাঘাট অফিসপাড়া জনশূন্য ।
পটুয়াখালীর প্রশাসন,জনপ্রতিনিধিরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং করনীয় বিষয়াদির ব্যাপারে সার্বক্ষনিক নজরদারী করছেন। জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী এর নির্দেশনায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জিএম সরফরাজ ও জেলা স্যানিটারী ইন্সেপেক্টর মহিউদ্দিন মাসুদের সমন্বয়ে বাজার মনিটরিং চলছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম এর নির্দেশনায় বিদেশ ফেরত মানুষের অনুসন্ধান এবং চিহ্নিত প্রবাসীদেরকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখার এবং তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি উপযোগি খাবার সরবরাহ করে যাচ্ছেন।
পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন অাহমেদ পৌর শহরকে দূষনমুক্ত করার জন্য সড়ক সমূহসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে জীবানুনাশক পানি স্প্রে করছেন। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার ও সদর ইউএনও লতিফা জান্নাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগনকে সচেতনতার পাশাপাশি অক্ষম দরিদ্র শ্রেনীর মানুষের মাঝে মাস্ক ও খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ করছেন।
এমএম/পাবলিকভয়েস