

পাবলিক ভয়েস : সিলেট তাহলে সৌভাগ্য বয়ে আনল খুলনার জন্য। নতুন স্টেডিয়ামে বিপিএলে নতুন করে শুরু হলো খুলনা টাইটানসের। টানা চার হারের বৃত্ত থেকে বের হতে সিলেটের প্রথম ম্যাচকে বেছে নিয়েছে দলটি। রাজশাহী কিংসকে ২৫ রানে হারিয়ে দিয়েছে মাহমুদউল্লাহর। প্রথমে ব্যাট করে ১২৮ রানে ইনিংস শেষ হওয়ার পর এমন জয় দুর্দান্ত কিছুরই ইঙ্গিত দেয়।
দলকে বাড়তি কিছু দিতে টপ অর্ডারের নামছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে ভূমিকায় সফলও হচ্ছেন। আগের বিপিএলগুলো যেখানে তাঁর অলরাউন্ডার সত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছিল, সেখানে এবারের বিপিএলে দারুণ ব্যাট করছেন মিরাজ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রান তুলছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আবদার মেনেই। কিন্তু অধিনায়কের এমন সাফল্যও দলকে অনুপ্রাণিত করছে না। ব্যতিক্রমী মিরাজই হয়ে পড়েছেন দলের সবচেয়ে সেরা ব্যাটসম্যান!
রাজশাহীর জন্য ঝামেলার ব্যাপার হলো, আজ মিরাজের ইনিংস মাত্র ১৬ বল লম্বা হয়েছে । তাতে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান এনে দিতে পেরেছেন মিরাজ। এর পর দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ক্রিশ্চিয়ান ইয়ংকার ও আরাফাত সানীর। সানী তবু ১৩ বলেই এ রান তুলেছেন কিন্তু ১৫ রান তুলতে ইয়ংকারের ২৪ বল খেলা টি-টোয়েন্টি তো বটেই, ওয়ানডেতেও এখন মেনে নেওয়া কঠিন।
প্রথম ওভারে জুনায়েদ খানের বলে ফিরেছেন লরি ইভান্স। এরপর থেকেই স্পিনারদের রাজত্ব। মিরাজ-মুমিনুল মিলে ২৫ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। মাহমুদউল্লাহর বলে মুমিনুলের (৭) আউট হওয়া দিয়ে শুরু হলো ধসের। তাইজুলের পরের ওভারেই বিদায় নিলেন মিরাজ ও সৌম্যই।
১ উইকেটে ৩০ রান থেকে ৪ উইকেটে ৩২-এ পরিণত হলো রাজশাহী। সময় যত গড়িয়েছে স্কোরকার্ড তত ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। ক্ষণিক পরেই সেটা ৮ উইকেটে ৭৪ হয়ে গেল। সানী ও কামরুল ইসলাম (১৩) না দাঁড়িয়ে গেলে আজ আর এক শ পেরোতে পারত না রাজশাহী। ১০৩ রানেই শেষ দুই উইকেট হারিয়েছে তারা।