
করোনাভাইরাসবাহী সন্দেহে সুভাষ সরকার (৩০) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন হেলথ ডেস্ক কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ভারতের আগরতলা আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে বাংলাদেশের আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট আসেন।
এসময় নোম্যান্সল্যান্ডে ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করেন ইমিগ্রেশনে অস্থায়ী হেলথ ডেস্কের স্বাস্থ্যকর্মীরা। তার গায়ে অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাকে মাস্ক পরিয়ে দেয়া হয়। পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এর আগে করোনা না থাকা সত্ত্বেও চিন ভ্রমণ করায় এক বাংলাদেশিকে আখাউড়া থেকে ফিরিয়ে দেয় ভারতীয় ইমিগ্রেশন।
সুভাষ সরকার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার মধ্য ভুবন বন এলাকার শরৎ সরকারের ছেলে। তার পাসপোর্ট নাম্বার(T- 8461995)। তার সিলেটের লাখাই উপজেলার রাধানগর গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশনে অস্থায়ী হেলথ ডেস্কের দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. ফজলুল হক সরকার জানান, ওই ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তার গায়ে প্রায় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় করোনাভাইরাসবাহী সন্দেহ করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলমকে জানানো হয়। তার নির্দেশে অসুস্থ সুভাষ সরকারকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।
আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আবদুল হামিদ জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য ইমিগ্রেশনে অস্থায়ী হেলথ ডেস্ক কর্মীরা সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত চীনের কোনো নাগরিক এ সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করেননি। তবে ভারতীয় নাগরিক সুভাষ সরকারের অতিরিক্ত জ্বর ও অসুস্থ হওয়ার তাকে সন্দেহ করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সর্বদা সতর্ক রয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল ও ৮টি উপজেলা হাসপাতালে আইসোলেশন বেড স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে মোট দুইটি করে ১৬টি ও জেলা সদর হাসপাতালে পাঁচটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে শওকত আহমেদ নামে এক বাংলাদেশি (চট্টগ্রাম) ব্যবসায়ী কাজে আগরতলা যাওয়ার জন্য আখাউড়া সীমান্ত সদিয়ে ভারতে প্রবেশ চান। তখন স্বাস্থ্য পরীক্ষা অসুস্থতার কোনো লক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও ওই ব্যাবসায়ীকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়নি ভারতীয় ইমিগ্রেশন। এর আগে গত নভেম্বরে তিনি চিন ভ্রমণ করেছিলেন। আর এই কারণেই তাকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছিলেন আখাউড়ায় আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন (বাংলাদেশ) কর্মকর্তা আ: হামিদ
/এসএস

