নববধূ এখনো নিখোঁজ: বিয়েবাড়ির নৌকাডুবিতে আরো একজনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২০

রাজশাহীর পদ্মায় বিয়েবাড়ির নৌকাডুবিতে আরো একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম মনি খাতুন (৪২)। নববধূসহ এখনো নিঁখোজ রয়েছে ১৯জন।

শনিবার সকালে জেলার চারঘাট এলাকায় মনি খাতুনের বোরকা পরা মরদেহ নদীতে ভেসে ওঠে। নিহত মনি কনে সুইটি খাতুনের চাচি। এ নিয়ে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হলো।

এদিকে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পাঁচ সদস্যের একটি দল ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছেছে। রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে মাঝপদ্মায় যেখানে নৌকা দুটি ডুবেছে সেখানেই তারা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।

কিছুটা দূরে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ভাটিতে চারঘাট এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। স্পিডবোট নিয়ে ঘুরছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।

বরের নাম রুমন আলী (২৬)। তার বাড়ি পদ্মার ওপারে পবা উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামে। বাবার নাম ইনসার আলী। আর কনের নাম সুইটি খাতুন (২০)। তার বাড়ি রাজশাহী শহর সংলগ্ন পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামে। বাবার নাম শাহীন আলী।

বৃহস্পতিবার রুমন-সুইটির বিয়ে হয়। শুক্রবার দুপুরের দিকে সুইটির আত্মীয়স্বজন বর-কনেকে আনতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে মাঝপদ্মায় নৌকা ডুবে যায়। বরকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও দুই পরিবারের পাঁচজন উদ্ধার হয়েছেন।

তারা হলেন- খাদিমুল ইসলাম (২৩), রতন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২২), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬)।

রতন ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন উদ্ধার হলেও তাদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন মারা গেছে। আর মেয়েকে নিয়ে সাঁতরে উঠেছিলেন সুমন-নাসরিন দম্পতি।

নৌকাডুবির পর আশপাশের অসংখ্য মানুষ এবং স্বজনরা শ্রীরামপুর এলাকায় নদীপাড়ে ভিড় করেছেন। রয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। বিজিবি সদস্যরাও স্পিডবোট নিয়ে নদীতে ভাসমান মানুষ খুঁজছেন। নদীপাড়ে প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।

উদ্ধার হওয়ার পর রানা নামের এক যুবকের ভাষ্যমতে, দুটি নৌকা পাশাপাশি আসছিলো। প্রথমে একটি নৌকার তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় এই নৌকার যাত্রীদের অপর আরেকটি নৌকায় নেয়া হচ্ছিল। তখন অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে এ নৌকাটিও ডুবে যায়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ শনিবার সকালে বলেন, নিখোঁজের সংখ্যা কেউ বলছেন ৩০ জন, আবার কেউ বলছেন ৩৫।

আসলে কতজন যে নিখোঁজ হয়েছেন তা আমরা নিশ্চিত নই। আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। একটা রাত যেহেতু পার হয়ে গেছে এখন নদীর ভাটিতে মরদেহ ভেসে উঠবে। সে জন্য ভাটিতেও আমাদের দল কাজ করছে।

/এসএস

মন্তব্য করুন