
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আলমগীর শরীফকে পিটিয়ে আহত করেছেন ববি আক্তার নামে এক নারী ও তার ছেলেরা। রোববার রাত সাড়ে ৯ টায় কাজীপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত হয়ে ইমাম আলমগীর শরীফ বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন। এঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ইমাম মাওলানা আলমগীর শরীফ পাবলিক ভয়েসকে বলেন, আমি এই এলাকায় ১০ বছর যাবত সম্মানের সাথে ইমামতি করছি। গত এক বছর যাবত কাজীপাড়ার রাজ্জাক সাহেবের বাড়ির ২য় তলায় মাদ্রাসা চালু করি। এই বাড়িরই ৪র্থ তলায় রাজ্জাক সাহেবের মেয়ে ববি ভাড়া থাকেন। ওনি প্রতিনিয়ত মাদ্রাসার বাচ্ছাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং বিভিন্ন ভাবে মাদরাসা সরিয়ে নিতে কথা বলেন। সামান্য অজুহাতেই তিনি অকথ্য বাসায় গালাগালি করেন।
আজও এই মহিলা গালাগালি করলে আমি তার বাবা রাজ্জাক সাহেবের কাছে বিচার দেই, আর তাতেই রাগান্বিত হয়ে ববি ওনার ছেলে সহ কয়েকজন আমার রুমে প্রবেশ করে এবং ববি আমাকে সজোরে লাথি মারে। এরপর ওনার ছেলে সহ সবাই আমাকে মারধর শুরু করে। তখন মাদ্রাসার ছাত্ররা চিৎকার শুরু করলে আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। আমি এর সুষ্ট বিচার চাই।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাজীপাড়া এলাকার শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ লিটন সাহেব জানান, মসজিদের ইমাম মাওলানা আলমগীর শরীফ কে একজন ভদ্র ও মিশুক প্রকৃিতর মানুষ হিসেবেই জানি। তার মসজিদে বিভিন্নপন্থী মুসুল্লি থাকলেও তিনি সবার সাথেই আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছেন। তার মতো একজন সন্মানিত ইমামের গায়ে হাত তোলা, পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে যাওয়া কোন মানুষের কাজ হতে পারে না। দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
কাজীপাড়ার বাসিন্দা আইয়ুব জানান, এই বাড়ির মহিলার আচরণ খারাপ, সে সব সময় মারাত্মক দুর্ব্যবহার করে ভাড়াটিয়াদের সাথে। আজকে চিৎকার শুনে এখানে এসে হুজুরকে আহত অবস্থায় পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি সেলিম বলেন,আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং সন্দেহভাজন বাড়ির মালিকের নাতি বিনয় কে আটক করি এবং এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এমএম/

