

উদ্ধার ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় তেঁতুলিয়া নদীতে বালুবাহী জাহাজ থেকে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর সুকানী বেল্লাল হোসেন (২৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে উপজেলার রসুলপুরি ইউনিয়নের শারিকখালী এলাকার তেঁতুলিয়া নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় বিল্লালের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বেল্লাল হোসেন চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরি-মুকরি এলাকার হাসান উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
বুধবার সকালে স্থানীয়রা রসুলপুুর ইউনিয়নের শারিকখালী এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে সুকানী বেল্লাল হোসেন মৃতদেহ ভাসতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে শশীভূষণ থানার নাজিম সিকদারের একটি বালুবাহী জাহাজ থেকে তেঁতুলিয়া নদীতে পড়ে গিয়ে সুকানী বেল্লাল হোসেন নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল বেল্লালকে উদ্ধারে গত চার দিনে ধরে তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালায়।
এছাড়াও বেল্লালের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার রিতুসহ পরিবারের লোকজন মিলে তাঁর খোজে গত চার দিন ধরে নদীর পাড়ে অবস্থান করছেন। সর্বশেষ বুধবার সকালে স্থানীয়রা শারিকখালী এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে বেল্লালের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
এদিকে বেল্লাল হোসেনের নিখোঁজের ঘটনায় তার ভাই মাহাবুব হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে গত সোমবার রাতে শশীভূষণ থানায় জাহাজের তিন মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় জাহাজ মালিক মানিক হাজারী, সোহান সিকদার ও মানিক সিকদার এবং জাহাজের স্টাফ আক্তার হোসেন, সুজাউদ্দিন, এমরান ও ওমরকে আসামি করা হয়।
পরে মামলায় অভিযুক্ত জাহাজের স্টাফ আক্তার হোসেন, সুজাউদ্দিন, এমরান ও ওমরকে গ্রেফতার কওে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে‘।
/এসএস