
পাবলিক ভয়েস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুলিশের সোর্স হারুন মিয়া (৫৫) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে স্থানীয়রা।
আজ রোববার দুপুরের উপজেলার স্বাধীনতা চত্তরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদের সাথে বাবা হত্যা বিচারের দাবিতে মানবন্ধনে শিশু হাফসা। কিছু চাই না তার, শুধু চায় হারানো বাবাকে।
জানা যায়, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ধজনগরের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি পুলিশ ও সিআইডির সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে একটি অপমৃত্যু মামলা করে। পরে হারুনের অক্ষত মরদেহ দেখে পরিবারের সন্ধেহ হয়।
তারা প্রথমে আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর ৩ ডিসেম্বর হারুনের স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে রেলওয়ে থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
হারুনের ছেলে আলমগীর মিয়া পরিবর্তন ডটকমকে জানান, আমার পিতা হারুন মিয়ার মরদেহ যে এলাকা থাকে পাওয়া গেছে সেই এলাকায় কুমিল্লা পুলিশের সিআইডি কর্মকর্তা আলী আজ্জমের বাড়ি। আলী আজ্জমের সাথে আমার বাবার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রেলে কাটা পড়ে যদি উনি মারা যেতেনন তাহলে দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেত। উনার মরদেহের পেছনে রামদায়ের কোপ ছিল। আমরা হত্যা মামলা করেছি।
কিন্তু রেলওয়ে থানা পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছেন না আমাদের। আমরা পুলিশের সাথে দেখা করলে খারাপ ব্যবহার করেন। আসামী ধরছেন না। আমার পিতা হত্যার ন্যায় বিচার চাই।
আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কান্তি দাস বলেন, এই ঘটনায় কোনো সাক্ষী নেই। আমরা একজন আসামি গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি সোলাইমান খান, সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ।

