

আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ৩০ জানুয়ারী। একই দিন রয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা। পূজার দিন ভোটগ্রহণ করার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন অনেকে সচেতন মানুষ। বিশেষ করে ঢাকায় শাহবাগেও হয়েছে আন্দোলন। এমনকি বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছে। হাইকোর্টও রায় দিয়েছে ৩০ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মর্মে। এমনকি অনড় অবস্থানে আছে নির্বাচন সচিবও।
৩০ তারিখে অনুষ্ঠিতিব্য এই নির্বাচনের তারিখ বিষয়কে দায়িত্বজ্ঞাহীন আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন দুই সিটি নির্বাচনেই মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দীতা করা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।
আজ ১৭ জানুয়ারি‘২০ শুক্রবার ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অথচ এ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায় হিন্দুদের সরস্বতী পূজার দিন ৩০ জানুয়ারী‘২০ ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যা হিন্দু মতাবলম্বীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। স্পষ্টত ইসি এখানে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। যার ফলে নির্বাচন কোনভাবেই সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হতে পারে না।
এতেই বুঝা যাচ্ছে, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে ইচ্ছুক নয়। অনেকেই মনে করছেন পূজার দিন নির্বাচন ঘোষণার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের এক হীন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রকে কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আমরা হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতি হিন্দু-মুসলিমসহ অন্যান্য সকল গোত্র-বর্ণের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে একত্রে বসবাস করে আসছি। আমরা পরস্পর পরস্পরের ধর্মীয় আবেগ ও মূল্যবোধকে সম্মান করি। অতএব নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।