

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় লাইজু আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ ঘরে রেখে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার মো. তরিকুল ইসলামের ছেলে মো. তানজিলের স্ত্রী ও দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের মসু শিকদারের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মসু শিকদারের মেয়ে দৌতখান মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লাইজু আক্তারের সাথে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মো: তরিকুলের ছেলে তানিজিলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা পরিবারের অমতে গত দুই মাস আগে কোর্ট কাবিন ও কাজীর মাধ্যমে বিয়ে করে।
বিয়ের পর স্ত্রী লাইজুকে নিয়ে তানজিল তাদের বাড়ি চলে আসে। পরিবারের অমতে বিয়ে করায় তানজিলের পরিবারের লোকজন লাইজুকে সহজে মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের পরিবারের মধ্যে কলহ চলছিলো।
তারা আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে তানজিলদের ঘরের দরজা-জানালা খোলা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এঅবস্থায় তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই ঘরের একটি রুমে মধ্যে কম্বল দিয়ে ঢাকা অবস্থায় লাইজুর লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, রাত ৯ টার দিকে স্থানীয়দের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তার মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের স্বামীসহ পরিবারের কোনো লোকজনকে পাওয়া যায়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকপ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে আসল রহস্য জানা যাবে। তিনি আরো জানান, নিহতের স্বামী ও তার পরিবার লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
/এসএস