

ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
পশ্চিমা সংস্কৃতিতে ‘হিউম্যান ডগ ‘ বা ‘পারফর্মিং আর্টে’র ধারণা অনেক পুরনো। ১৯৬৮ সালে ‘পারফর্মিং আর্ট’ প্রথম দেখা যায়। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরের রাস্তায় প্রথম ভ্যালি এক্সপোর্ট ও পিটার উইবেল এই পারফর্মিং আর্টে অংশ নেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- কার্টুনে যেমন বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের মতো কথা বলা ও আচরণগতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। আর বাস্তবে মানুষকে প্রাণী চরিত্রে দেখানো হচ্ছে ‘পারফর্মিং আর্ট’।
সম্প্রতি রাজধানীর হাতিরঝিলে ‘হিউম্যান ডগ‘ বা ’মানব কুকুর’ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় এক তরুণী এক যুবকলের গলায় দড়ি ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন। আর পেছনে হাঁটু গেড়ে ওই যুবক কুকুরের ভঙ্গিতে পেছনে পেছনে ছুটে চলেছেন।
এটা নিয়ে নেট দুনিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ও ঘৃণা দেখা দিয়েছে। অনেকেই ছিঃ ছিঃ করছেন। অনেকে বলছেন ওই নারীকে বিচারের আওতায় আনা হোক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একজন লিখেছেন, এটা হিউম্যান ডগ বা ট্যাবু নয়! ফ্রি সেক্স চালু করার পায়তারা।
জানা গেছে, হাতিরঝিলে ‘পারফর্মিং আর্ট’ ফ্রম পোর্টফোলিও অব ডগডনেসে অংশ নেওয়া নারীর নাম সেঁজুতি এবং পুরুষের নাম টুটুল চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইন্টিং ও ড্রয়িং বিভাগের এই ছাত্রী ‘পারফর্মিং আর্ট’কে এঁকে ‘সমাজতাত্ত্বিক’ ও ‘আচরণমূলক’ কেসস্টাডি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে সেঁজুতির বলেছেন, পারফর্মিং আর্টে’ একজন নারী একজন পুরুষকে গলায় রশি বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কিংবা আরও ভালো কোনো সামাজিক অবস্থার চিত্র ফুটিয়ে তোলে না।
‘বরং সমাজ আমাদের ওপর যে সিস্টেম চাপিয়ে দিয়েছে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। এই কাজ করে আমরা দেখতে চেয়েছি- এর প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সাধারণ মানুষ বিষয়টাকে কীভাবে নিয়েছে।’
এটা নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিক্রিয়া মোটেও ইতিবাচক নয়। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ নিয়ে নানান জন নেতিবাচক মন্তব্য করছেন।