

শীতের সময়ে বাংলাদেশের ট্রেডিশন ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একান্ত আবেগ ও ইসলামের প্রতি ভালোবাসা থেকে আয়োজন করা হয় ওয়াজ-মাহফিলের। দেশের প্রখ্যাত আলেম ও মুফাসসিরে কুরআনগণ সে সব মাহফিলে শ্রোতাদের উদ্দিশ্যে ইসলাম ও সামাজিক বিষয় নিয়ে বয়ান বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। এসব বক্তাদের মধ্যে কিছু বক্তারা আছেন যারা বিভিন্ন কারণে স্রোতা মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়। যাদের নাম শুনলেই অগনিত শ্রোতারা এসে হাজির হন মাহফিলে। তেমনই একজন আলোচক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ। যিনি একাধারে একজন আলেম, লেখক, বক্তা। এমনকি সম্পাদনা করেন একটি অনলাইন পত্রিকাও। বয়ানের নতুনত্ব ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনার কারণে তিনি শ্রোতামহলে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা যায়, মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহর বেশকিছু মাহফিলে শ্রোতার ঢল নামে। এমনকি এ ক্ষেত্রে সময়ও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তিনি যখনই বয়ান করেন তখনই মানুষ এসে হাজির হন। বাংলাদেশের ট্রেডিশনে সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকে মাহফিল হলেও কিছু ক্ষেত্রে বা বেশ কয়েকজন আলোচকের ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্ধ্যার পর কোন বিষয় নয় বরং দিনের বেলায় তাদের মাহফিল প্রোগ্রামেও লাখো মানুষ উপস্থিত হন।
আজ (২৮ ডিসেম্বর ২০১৯) ঐতিহাসিক চাঁদপুর পুরানবাজার মধুসূদন হাইস্কুল ময়দানে বিশাল তাফসীর মাহফিলের আয়োজন করে তাফসীর কর্তৃপক্ষ। সম্মেলন কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কাশেম গাজীর সভাপতিত্বে ও মুফতী শাহাদাৎ হোসাইনের পরিচালনায় এতে বাদ ফজর প্রধান অতিথির আলোচনা পেশ করেন সময়ের আলোচিত ওয়ায়েজ ও লেখক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ (কুয়াকাটা)।
জানা যায়, অতি ভোরে কনকনে শীতে হাজার হাজার মুসুল্লী মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ‘র বয়ান শুনতে ফজরের আগেই সম্মেলনস্থলে হাজির হতে থাকে। মহিলা প্যান্ডেলেও হাজার হাজার নারী পর্দাসহকারে মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এবং বয়ান শুনেন। ফজরের নামায আদায় করে মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ বয়ান শুরু করেন এবং আলোচনা পরবর্তি সময়ে মুনাজাত পরিচালনা করেন। বয়ানে তিনি দীনে ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুরে মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ আগমন করলে লোক সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। তিনি দেশের জনপ্রিয় ও তাত্ত্বিক আলোচক হওয়ায় সকল শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে সমাদৃত।
একইদিনে দুপুর আড়াইটায় বি.বাড়িয়ার কসবা সৈয়দাবাদ জামিআ ছানী ইউনুছিয়া মাদরাসার মাহফিলেও একই দৃশ্য দেখা যায়। স্টেজ পরিচালক মাওলানা কামাল উদ্দীন দায়েমী বলেন, মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ‘র শিডিউল সবসময় ব্যস্ত থাকায় আমাদেরকে বাদ যোহর সময় দেন তিনি। বাদ যোহর অত্র অঞ্চলে মাহফিলের প্রচলন না থাকলেও তার নাম শুনে হাজার হাজার লোক হাজির হন মাদরাসা ময়দানে।