দেশের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক নির্বাচন আর হয়নি : বামজোট

প্রকাশিত: ১০:১১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
‘ভোটের আগেরদিন রাতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট করা হয়েছে। আবার কোথায়ও ৫০ শতাংশ সিল মারা হয়েছে। ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সকাল ১১টায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সিল মেরেছে।’

পাবলিক ভয়েস : বাম গণতান্ত্রিক জোট বলেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক কলঙ্কিত নির্বাচন। এমন কলঙ্কজনক নির্বাচন দেশের ইতিহাসে আর হয়নি। নজিরবিহীন ভুয়া ভোটের এই নির্বাচনের আগের দিনই বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশাসনের সহায়তায় ভোট ডাকাতি হয়েছে। অথচ নির্বাচনের দিন প্রশাসন এসব অনিয়ম ঠেকাতে নিষ্ক্রিয় ছিল।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত ‘ভোট ডাকাতি, জবর দখল ও অনিয়মের নানা চিত্র’ শীর্ষক গণশুনানিতে এসব কথা বলেন বাম দলগুলোর প্রার্থীরা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাম দলগুলোর প্রার্থীরা এই শুনানিতে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ তুলো ধরেন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, আ.লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার মামলা হামলার মাধ্যমে আগে থেকেই এক তরফা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করেছে। তাদের টার্গেট ছিল জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসে।

বাম জোটের নেতা বলেন, আ.লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দলের নেতাকর্মীদের ওপর বেশি নির্ভর করেনি, প্রশাসনের ওপর করেছে। ভোটের আগেরদিন রাতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট করা হয়েছে। আবার কোথায়ও ৫০ শতাংশ সিল মারা হয়েছে। ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সকাল ১১টায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সিল মেরেছে।

তিনি আরো বলেন, ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ইচ্ছা মতো ভোট গণনা করা হয়েছে। বাম জোটের কোন কোন প্রার্থীকে শূন্য ভোটও দেখানো হয়েছে। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থীদের জামানত রক্ষা করতে ভোটের ভারসাম্য রেখেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের কলঙ্কজনক ভোট আর কখনো হয়নি।

প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে এ ভোটে কতৃত্ব কায়েম করা হয়েছে। এর জন্য আমাদের লড়াই করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানাই।

মন্তব্য করুন