চট্টগ্রাম থেকে সংরক্ষিত কোটায় এমপি হতে চান এমন কয়েকজন

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস : এখন সর্বত্র আলোচনায় আছে সংরক্ষিত আসন। চট্টগ্রাম থেকে সংরক্ষিত আসনের এমপি হওয়ার দৌড়ে আলোচিত হচ্ছে অনেকের নাম এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে নতুন মুখকে অগ্রাধিকার দেয়া হতে পারে বলে বিজ্ঞ মহলের ধারণা । যারা দলের ও সরকারের দুর্দিনে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও সরকারের উন্নয়ন প্রচারে অবদান রেখেছেন। একইসঙ্গে দলের ও দলের সহযোগী সংগঠনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তাদেরই মূল্যায়ন করবেন ।

যারা আলোচনায় আছেন তাদের মধ্যে সদ্য বিদায়ী সাংসদ কেন্দ্রীয় মহিলা আ.লীগের সহসভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ.লীগের সদস্য ও সাবেক সাংসদ রফিকুল আনোয়ারের কন্যা খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা মহিলা আ.লীগের সভানেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য চেমন আরা তৈয়ব, উত্তর জেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, রেহেনা বেগম রানু, কক্সবাজার জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সারোয়ার কাবেরী, মহানগর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বারের পরিচালক মোস্তারী মোর্শেদ স্মৃতি, চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বারের পরিচালক নাজমা আক্তার মিতা।

ওয়াসিকা আয়শা খান আ.লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাষ্ট্রদূত আতাউর রহমান খান কায়সারের কন্যা। দশম সংসদে তিনি সংরক্ষিত আসনের এমপি ছিলেন।  তার কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর নজর কাড়ার কারণে মহিলা আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান অর্জন করেন তিনি। দায়িত্ব পান কেন্দ্রীয় মহিলা আ.লীগের সহ-সভাপতির।

খাদিজাতুল আনোয়ার সনি তার বাবার মৃত্যুর পর দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সনি উত্তর জেলা আ.লীগের সদস্য হিসাবে ফটিকছড়িতে নিজস্ব বলয় তৈরি করে বাবার রাজনীতিকে চাঙ্গা রেখেছেন। অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী গত ১০ বছর ধরে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিশেষ করে বিভিন্ন মাদ্রাসায় উপস্থিত থেকে জাতীয় সঙ্গীত ও দেশের প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে মাদ্রাসা ছাত্রদের আকৃষ্ট করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করছেন। এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেছেন। তিনি সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চেমন আরা তৈয়ব নবম সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। দশম সংসদে তিনি মনোনয়ন না পেলেও তাকে দক্ষিণ জেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।  আবারো দলের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

এডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদিকা।  দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও এবার তিনি দলীয় মূল্যায়ন হিসাবে সংরক্ষিত কোটায় এমপি হতে চান অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালের চট্টগ্রামের সাবেক এই কৌঁসুলি।

রেখা আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর। দুইবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। ওয়ান ইলেভেনের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে।  তিনি চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বারের পরিচালক।

অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর। নারী অধিকার ও বাল্য বিবাহ নিয়ে কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তবে সংরক্ষিত কোটায় এমপি হতে চান এমন আরো অনেকের নাম গুঞ্জন  শোনা  যায়।

মন্তব্য করুন