

ছেলেটির বাবা নেই। মা থেকেওে নেই। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছে সে। এরপর তার মা বিয়ে বসেন অন্যত্র। ছেলেটির আশ্রয় হয় মাদারাসার এতিমখানায়। আশ্রয়হীণ সেই ছেলেটিই মাত্র তিন মাসে পবিত্র কোরআন শরীফ পূর্ণ মুখস্ত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।
বলা হচ্ছে হাজিগঞ্জ জামিয়া আহমাদিয়া কাওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আবু রায়হানের কথা। আজ শনিবার শেষ সবক শুনিয়ে মুহাম্মদ আবু রায়হান থেকে হয়েছে হাফেজ মুহাম্মদ আবু রায়হান।
প্রখর মেধার অধিকারী এ ছেলেটির জন্ম চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন এন্নাতলি গ্রামে। বাবা মারা যাওয়ার পর মা অন্যত্র বিয়ে বসলে ছেলেটি আশ্রয়হীণ নিঃস্ব হয়ে পড়ে। স্বজনরা তাকে ভর্তি করে হাজীগঞ্জ জামিয়া আহমাদিয়া কাওমী মাদরাসা। পিতার আদর না পেলেও জামিয়ার শিক্ষকদের পিতৃতুল্য আদর স্নেহের মাধ্যমে গড়ে উঠছে তার জীবন। থাকা-খাওয়াসহ মাদরাসা কতৃপক্ষ তার সব খরচ বহন করে আসছে। মাদরাসার পঞ্চম তলায় এখন তার আপন ঠিকানা।
মাত্র তিন মাসে পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করার খবর শুনে মাদরাসায় ছুটে আসেন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সম্মানিত মোতাওয়াল্লী ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারী এবং ভারপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী প্রিন্স সাকিল আহমাদ। ভবিষ্যতে আবু রায়হানের যেকোনো প্রয়োজনে বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার ঘোষণা দেন তারা।
মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আবু সাঈদ পাবলিক ভয়েসকে জানান, খুব ছোটবেলায়- কোলে থাকার সময় আবু রায়হানের বাবা মারা যায়। এখন তার বয়স মাত্র ১১ বছর। এই অল্প বয়সে কোরআন শরীফের সবক দেয়ার পর থেকে শুরু করে মাত্র তিন মাসে সে পূর্ণ কোরআন শরীফ মুখস্ত করে সবাইকে বিস্মিত করেছে।
মাদরাসা থেকেই তার সার্বিক দেখাশুনা ও খরচাদি বহন করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, মাদরাসার এতিমখানায় ভর্তির পর থেকে মাদরাসার পক্ষ থেকে তার যাবতীয় খরচ বহন করা হচ্ছে। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তাআলা তাকে কোরআনের অনেক বড় খাদেম হিসেবে কবুল করুন।
/এসএস