বাধ্য হয়ে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯

যতই দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে দেশি ও আমদানি করা—দুই ধরনের পেঁয়াজের মূল্য। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকারও বেশি। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর অনেক খুচরা ও মুদি দোকানদার পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।

‘মোকামে পেঁয়াজ কম, মূল্যও বেশি। এ কারণে এখন আর পেঁয়াজ বিক্রি করছি না। কেনা মূল্যেও মানুষ পেঁয়াজ নিতে চায় না। বেশি মূল্যের কথা শুনলে অনেকেই গালি দেন। তাই বাধ্য হয়ে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।’ মানিকনগর এলাকার একজন মুদি দোকানদার গণমাধ্যমকে একথা বলেন।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়ও একই পরিস্থিতি। তবে যেসব দোকানদার নিয়মিত পেঁয়াজ বিক্রি করছেন, তারা বলছেন, আগে প্রতিদিন এক থেকে দেড় মণ পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এখন সারা দিনে ২০ কেজি পেঁয়াজও বিক্রি হয় না।

শুক্রাবারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। তবে ভালো পেঁয়াজ (দেশি) ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যদিও পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকায় টিসিবি এখন প্রতিদিন ৫০টি ট্রাকে ১ হাজার কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। টিসিবি’র পেঁয়াজ অবশ্য ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, টিসিবি’র তথ্য বলছে, এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২০ থেকে ৩০ টাকায়।

এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘অতি লোভী ব্যবসায়ীদের কারণে পেঁয়াজের মূল্য কমছে না। তবে, মূল্য না কমার আরেকটি কারণ হলো চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়া।’

নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের মূল্য কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।

আই.এ/

মন্তব্য করুন