পীর সাহেবের বয়ানের মাধ্যমে শুরু হলো চরমোনাই মাহফিলের দ্বিতীয় দিন

প্রকাশিত: ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০১৯

ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস

আজ বুধবার ২৭ নভেম্বর শুরু হলো বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ইসলামী মহাসম্মেলন চরমোনাই এর ঐতিহাসিক অগ্রাহয়ণের বাৎসরিক মাহফিলের দ্বিতীয় দিন। বাদ ফজর আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল কারীমের বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম।

সারাদেশ থেকে আল্লাহ প্রেমিকরা মাহফিলের প্রথম দিনই উপস্থিত হয়েছেন। আজ দ্বিতীয় দিনে প্রচুর পরিমান মানুষকে আসতে দেখা গেছে। আশেকানদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ চরমোনাই-এর মাঠ। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের মতো তৃতীয় মোনাজাতে অংশ নেওয়ার জন্য প্রচুর মানুষ উপস্থিত হয়ে থাকেন। এসব মানুষদের বেশির ভাগ চাকুরিজীবী। মাহফিলে আল্লাহ আল্লাহ জিকিরে মুখরিত হয়ে ওঠে চরমোনাই ময়দান। আবার কখনও নীরব হয়ে শ্রোতাদের বয়ান শোনার দৃশ্য লক্ষ করা যায়। আর কখনও আল্লাহু আকবারের ধ্বনীতে কেঁপে উঠে মাঠ।

আজ দ্বিতীয় দিনের সকালের বয়ানে নফস ও আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা করেছেন চরমোনাই পীর সাহেব। তিনি বলেন, নফস হচ্ছে প্রেসিডেন্ট আর শয়তান হল পরামর্শদাতা। যখন অন্তর থেকে শয়তানকে বের করে দেওয়া যাবে তখনই নফস দুর্বল হয়ে যাবে এবং নেক কাজের ইচ্ছা দৃঢ় হবে। সেই অন্তরই হচ্ছে আল্লাহর মারেফত লাভের ঘর। নফস দুর্বল করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো। আল্লাহ পাকের জিকির।

এর আগে, গতকাল উদ্বোধনী বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, চরমোনাইর এই লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত দুনিয়াবি কোনো স্বার্থোদ্ধারের জন্য নয় বরং আল্লাহর পরিচয় লাভ করে দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তি লাভের জন্য। সুতরাং আমরা মনে করি চরমোনাইতে কেউ দুনিয়া কামাই করার জন্য আসেননি।

তিনি বলেন, দুনিয়ার ক্ষমতা ও রাজত্ব ক্ষণস্থায়ী। সুতরাং দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী ক্ষমতা পেয়ে মহাবিশ্বের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহকে ভুলে যাওয়া যাবে না। যারা এমনটি করেন, তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতেই লাঞ্ছিত হবেন। অন্যদিকে মানুষের মাঝে আল্লাহভীতি সৃষ্টি হলে সবাই সম্মানিত হবে। দেশের মানুষ যদি আল্লাহভীরু তাকওয়াবান হয়ে যায়, তবে দেশের সর্বস্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

আজ সকাল ১০টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনের আর আধ ঘন্টা সময় বাকী আছে।  এতে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ-এর সিনিয়র মুহাদ্দিসগণ ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কিরাম উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল ৮টায় আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হবে।

আই.এ/

মন্তব্য করুন