

আব্দুল্লাহ আল মুবিন: মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ টঙ্গীর ইজতেমাকে সামনে রেখে প্রতি বছরের তাবলীগের পুরনো সাথীদের জোড় অনুষ্ঠিত হলেও এবার হচ্ছে না ৫দিনের এই জোড় ইজতেমা। গত বছরের ডিসেম্বরে টঙ্গীর ময়দানে ঘটে যাওয়া সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার জন্য এ নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। টঙ্গীতে এই জোড় না হলেও অঞ্চল ভিত্তিক পৃথক পৃথক চার স্থানে এ জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রতি বছর সুবিশাল চটের সামিয়ানা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। তুরাগ নদীর পাড়ে ৫ দিনের জোড় ইজতেমায় ৩ চিল্লাওয়ালা পুরানো সাথীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার আগে ৫ দিনের এই জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই জোড় ইজতেমায় ঢাকা জেলার তবলিগ জামাতের মুসল্লিসহ দেশি-বিদেশি লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
এই সম্মেলনে বা জোড় ইজতেমায় কালেমা, নামাজ, ইমান-আমলসহ ৬ উসুল সম্পর্কে দেশি-বিদেশি শীর্ষ মুরব্বিরা বয়ান করেন। এছাড়া মুসল্লিদের উদ্দেশে ইজতেমার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। পরবর্তীতে তারা জোড় শেষে আবার ইসলামের দাওয়াতের কাজে বের হন এবং আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্বে শরিক হন।
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব শাহে এলিদ মাইসুল আমিন এর সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মাওলামা জোবায়ের আহমদ এবং সাদ অনুসারীদের এবার পৃথক পৃথক জোর ইজতেমা করতে বলা হয়। বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সার্থে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাপূর্বে জোর ব্যতীত অন্য সব কার্যক্রম বা জেলা ইজতেমা করতে নিষেধও করা হয়।
ইজতেমাপূর্ব জোড়ের নির্ধারিত চার জায়গা ও তারিখ
২৯ ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ নয়ামাটি তাবলিগের মারকাজ সংলগ্ন ময়দান ফতুল্লা স্টোডিয়ামের পূর্ব পাশে।
২.২৯-৩০ নভেম্বর ও ১ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মারকাজ সংলগ্ন মাঠ।
৬-৭-৮ ডিসেম্বর যশোর উপশহর কলেজ মাঠ।
৬-৭-৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং চট্টগ্রাম চারিয়া ইজতেমার মাঠ।
ইতিমধ্যে নির্ধারিত এ ৪ জায়গায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শত শত মুসল্লিরা কাজে অংশ গ্রহণ করেছেন। চটের শামিয়ানা টানানোর পাশাপাশি বিদ্যুতের তার ও পানির পাইপ টানার কাজও চলছে। জোড়কে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে মুসল্লিরা দলে দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও জোরের প্রস্তুতিমূলক এ কাজে অংশ নিয়েছেন। তবে এবার স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি নজরে পড়ার মতো।
মতবিরোধের কারণে সাদ পন্থীদের জোড় করার জন্য সরকারীভাবে আলাদা জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
আই.এ/