

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে আজ মঙ্গলবারও (১৯ নভেম্বর) বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নের প্রতিবাদে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে এ ধর্মঘট শুরু হয়। আজ চলছে দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
নতুন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা ছাড়াই গতকাল সকাল থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলাসহ আরও চার জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রাখে পরিবহন শ্রমিকরা। এতে দুর্ভোগে পড়ে দূরপাল্লার যাত্রীরা।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় এ ধর্মঘট চলে। এর মধ্যে আজ বাগেরহাটে বাস চলতে দেখা গেছে। রাজশাহীতেও আজ বাস চলছে। তবে শেরপুর, দিনাজপুরের হিলি ও নওগাঁর ধামইরহাটে।
রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর রুটে বাস চলাচল গতকালকের মতো আজও বাস চলাচল বন্ধ। শেরপুর থেকে ঢাকাসহ বেশির ভাগ রুটের বাস চলাচল বন্ধ। ঢাকা থেকে বরিশাল, খুলনা, রংপুর, বগুড়া, পটুয়াখালী, পঞ্চগড়সহ দূরপাল্লার বাস চলাচল সীমিত থাকলেও আজ বন্ধ রয়েছে। পরিবহন শ্রমিক নেতারা একে বলছেন ‘স্বেচ্ছায়’ কর্মবিরতি।
নতুন আইনে বেপরোয়া মোটরযানের কবলে দুর্ঘটনা হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল, সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিছু নেতা পরিবহন শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে বলছেন, তাদের ফাঁসি হবে। এ কারণে শ্রমিকদের এই কর্মবিরতি।
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে আজ বেলা ১২টার দিকে দেখা যায়, টার্মিনালে বাসগুলো সারি সারি দাঁড়িয়ে। যাত্রীরা এসে বাস চলাচল সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে; কিন্তু বাস চলাচল কখন শুরু হবে, কেউ তা বলতে পারছিল না।
নড়াইলে জেলার অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও মহাসড়কে কোনো বাস, ট্রাক বা অন্য কোনো পরিবহন চলেনি। দুপুর থেকে নতুন আইন সংস্কারের দাবিতে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করে পরিবহন শ্রমিকরা।
জানা গেছে, রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস চলাচল গতকাল সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বিকেলে অবশ্য ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। রাজশাহীর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ঢাকাগামী বিভিন্ন কোচের কাউন্টারে অবস্থান করে বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ করে দেন। তারা কাউন্টারগুলোতে অপেক্ষমাণ যাত্রীদেরও বের করে দেন। ভোরে কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে। তবে সকাল সাড়ে ৬টার পর আর কোনো বাস ছাড়েনি। বিকেল সাড়ে ৪টায় বাস চলাচল শুরু হয়।
দিনাজপুরের হিলি থেকে বগুড়া রুটে তৃতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ ছিল গতকাল। ঢাকা-শেরপুর রুটে সোনার বাংলা পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবারও একই অবস্থা সেখানে। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটেও চালকরা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন।
আই.এ/