‘আলোর মুখ দেখছে ডাকসু’

প্রকাশিত: ১:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।

তৌকির আহমেদ, ঢাবি : দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন এর উদ্দোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রমতে মার্চ মাসের যেকোনো দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনি তফসিল।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডাকসুর গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করতে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠনতন্ত্র নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে এই কমিটি।

এই সংক্রান্ত চিঠি ছাত্রসংগঠন গুলোর কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মতবিনিময় সভায় ছাত্রসংগঠন গুলোর শীর্ষ নেতাদের উপস্থিত থেকে সংগঠনের থেকে শুপারিশ চেয়েছে প্রশাসন। চিঠির সাথে ডাকসুর বর্তমান গঠনতন্ত্রের একটি কপিও পাঠানো হয়েছে ছাত্রসংগঠন গুলোকে।

মতবিনিময় সভায় ছাত্রসংগঠনের নেতাদের উপস্থিত থাকার বিষয়ে ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যমান গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী কিনা, অথবা কোনো বিষয়ে পরিবর্তন আনা উচিত কিনা এটা জানতেই ছাত্রসংগঠনের নেতাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

কমিটি তাদের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে প্রার্থী ও ভোটার হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ  করবে। আসন্ন নির্বাচনে কারা প্রার্থী হতে পারবেন সেটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে আলোচনা। ডাকসু গঠনতন্ত্রের ৪ নং ধারার ১,২ ও ৬ নং উপধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীই ডাকসুর সদস্য। তবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সব আর্থিক প্রাপ্য পরিশোধ করতে হবে।

ভোটার তালিকার ব্যাপারে ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ভোটার কারা হবে তা কমিটি দেখবে। নিয়মগুলো যথার্থ আছে কিনা, পরিবর্তন হবে কিনা তা সব কমিটি দেখবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বেশিরভাগ নেতাই নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। নেতাদের অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে এমফিল অথবা পিএইচডি করছেন।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিৎ চদ্র দাস বলেন ” পিএইচডি, এমফিল শিক্ষার্থীদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সব ছাত্রসংগঠনই নিয়মটি শিথিল করা যায় কিনা সেটা নিয়ে ভাবছে। এক্ষেত্রে একটা টাইমফ্রেম বেধে দেয়া যায় কিনা আমাদের সে প্রস্তাব থাকবে।”

মন্তব্য করুন