

নূরুল করীম আকরাম
এক.
কেউ যখন অবিবেচকের মতো কোন মন্তব্য করে বসেন, তখন সুবিবেচকদের কাছে তার চিন্তা ও জ্ঞানগত অবস্থান এমনিতেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। শুধু প্রশ্নবিদ্ধ না; ধারণা প্রসূত কথা বলার কারণে তার ‘সিক্বাহ’ (সত্যবাদিতা ও গ্রহণযোগ্যতার চিরন্তন সার্টিফিকেট) শেষ হয়ে যায়।
দুই.
যখন কেউ অসত্য বলেন, তখন তার ভেতর একধরণের অপরাধপ্রবণতা সৃষ্টি হয়। নিজেই নিজের ভেতর বিলীন হতে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি তার আত্মোপলব্ধিতে নিজেকে সবসময় দোষারোপ করতে থাকেন। এতে করে তার ‘চাইন’ (আন্তরিক প্রশান্তি) শেষ হয়ে যায়।
তিন.
কেউ যখন জেনে-বুঝে কারও ওপর অপবাদ আরোপ করেন। তখন তার মনের দুইটা অবস্থা হয়। মনের শুভ্র অংশ তাকে ধিক্কার জানাতে থাকে আর অপরিচ্ছন্ন অংশ অপবাদ আরোপিত পক্ষের ক্ষতি দেখে পৈশাচিক আনন্দে মেতে ওঠে। আর তখন তার নিজের কাছেই নিজের ‘আদল’ (সুবিচারবোধ) শেষ হয়ে যায়। এতেকরে তিনি নিজেই নিজের কাছে হেরে যান।
সুতরাং
-আপনি ‘ওই’ মানুষটাকে কেন মারবেন? যিনি ইতোমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন!
-আপনি ‘ওই’ মানুষটাকে কেন মন্দ বলবেন? যিনি আপনার মর্যাদা বুলন্দ করেছেন আল্লাহর কাছে!
-আপনি ‘ওই’ মানুষটাকে কিভাবে হারাবেন? যিনি ইতোমধ্যেই হেরে গেছেন!
অতএব তার জন্য দোআ করুন। মানবিক আচরণ করুন। তার কষ্টলাঘবে খোঁজখবর নিন। নিজেদের অবস্থান যদি ঠিক থেকেই থাকে, তবে পিছুটান ভুলে এগিয়ে যান। কেমন ব্রাদার্স এন্ড সিস্টার্স? [স্বগোত্রীয় যুলুমের স্বীকার একজন মাযলুম]
(লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে)
/এসএস