

সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। কুমিল্লা সীমান্তে আটক র্যাবের তিন সদস্য মারধরের শিকার হওয়া নিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজ থেকে একটি স্টেটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন,
মাঝে মাঝে পত্রিকায় পড়ি বাংলাদেশের ভেতর ঢুকে দেশের মানুষকে পিটিয়েছে ভারতের সীমান্ত বাহিনী।কখনো তাদের আটক করতে দেখিনা বাংলাদেশের কোন বাহিনীকে, প্রতিবাদ করতেও দেখিনা। অথচ দেখলাম, ভুল করে সীমান্তের ভেতর চলে যাওয়ায় আমাদের র্যাবের কয়েকজন সদস্য দুদিন আগে বেধড়ক মার খেযেছে ভারতে।
এ’ঘটনার এখনো প্রতিবাদ করলো না বাংলাদেশ সরকার। কোন আত্নমর্যাদাবোধ নেই নাকি এদের?
এই প্রতিবেদন লেখার সময় তার এই পোস্টে ১১ হাজার লাইক ও ৬৮২ কমেন্ট এসেছে । তার ভিতর Trishna Islam নামের একজন কমেন্ট করেছেন, শুধু যে আত্মসম্মান নাই তা নয়,প্রচন্ড ভীতু হয়ে গেছে বাংলাদেশ।আরে ৭১ এ উপকার করেছিলো বলে তো যথেষ্ট কৃতজ্ঞ এই দেশ।তাই বলে কি এভাবে অত্যাচার করবে নাকি?ভারতের কার্যকলাপ দেখে বুঝিনা তারা কি চাচ্ছে?উপকার করার প্রতিদানস্বরুপ তারা কি দেশটাকেই চাচ্ছে নাকি?
মোহাম্মদ কিশোর মাহমুদ নামের একজন কমেন্ট করেছেন, অবৈধ সরকার অবৈধভাবে হ্মমতায় টিকে থাকার জন্য অনেক কিছুই এভাবে এড়িয়ে যাবে!কেননা রাষ্ট্র এখন অভ্যন্তরীণ ভাবে দুর্বলতম একটা রাষ্ট্র হয়ে পরেছে, শুধু হ্মমতায় টিকে থাকার জন্য!!
Abu Bakar Siddique নামের একজন কমেন্ট করেছেন, প্রত্যেকটা মানুষের যেমন একটা ব্যক্তিত্ব থাকে তেমনি রাষ্ট্রেরও তা থাকে। কারো একটু বেশী কারো কম। কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রের নুন্যতম ব্যক্তিত্ববোধ টুকুও নেই। এটা একটা ব্যক্তিত্বহীন রাষ্ট্র। উল্লেখ্য, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে মাদক উদ্ধার ও ব্যবসায়ীকে ধরতে গিয়ে র্যাবের তিন সদস্য ও দুই মহিলা সোর্সসহ পাঁচজন ভারতর সীমান্তরক্ষী বিএসএফের হাতে আটক হয়। বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশা বাড়ি সীমান্তের ১০নং গেইট দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে তাদেরকে আটক করে বিএসএফ। বিজিবি-বিএসএফ এর মাঝে পতাকা বৈঠক শেষে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে আশাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। আটককৃত তিন র্যাব সদস্য হলেন, কনস্টেবল রিদান বড়ুয়া, আবদুল মজিদ ও সৈনিক ওয়াহিদ এবং দুই নারী সোর্স লিজা ও তার খালা।
মুহসিন/পাবলিকভয়েস