

ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
দেশের সর্বমহলে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন। বাংলাদেশেল বিভিন্ন ঝামেলাপূর্ণ জায়গা লাইভ করে তিনি উঠে এসেছেন। দুদিন আগে এক ভিডিওতে একথা তিনিই নিজেই শিকার করেছেন। ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের লাইভ নিয়ে সে বিষয়ে ঘুমন্ত প্রশাসন সজাগ হন। ইতোপূর্বে অনেক ঝামেলার সমাধাও হয়েছে।
এবার ১৯৭৩ সালে জনাব এম মনসুর আলীর উদ্বোধন করা একটি পরিত্যক্ত রেল স্টেশনে গিয়ে লাইভ করেন ব্যারিস্টার সুমন। জনাব এম মনসুর আলী তখন যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা বাজারের এই প্ররিত্যক্ত স্টোশনে লাইভের ক্যাপশনে ব্যারিস্টার সুমন লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র পরিত্যক্ত রেল স্টেশন চালু হলেই বদলে যেত দেশ।’
লাইভে সুমন স্টোশন মাস্টারের রুমসহ আশাপাশের পুরো পুরিবেশটা দেখান। তিনি আফসোস করে বলেন, ‘যেখানে বাংলাদেশের রেল স্টেশনে ইনভেস্টমেন্টর কথা হচ্ছে সেখানে এই স্টেশনেসহ আরও অনেকগুলো স্টেশনে ফেলে রাখার কী মানে হয় আমি বুঝি না। তিনি বলেন এই স্টেশনে দশ পনেরো বছর ধরে কেউ আসে বলে আমার মনে হয় না।’
স্টেশনে পড়ে থাকা বেশ বড় একটা পড়ে থাকা ট্রেন দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘দেখেন কী লম্বা একটা ট্রেন পড়ে আছে। এসময় স্থানীয় অনেক লোকজন জড়ো হয়। তাদের একজন ডেকে সুমন জানতে চান, ‘কতো দিন ধরে পড়ে আছে ট্রেনটি? লোকটি জানায় প্রায় সাত আট বছর ধরে সেটি পড়ে আছে।’
সুমন বলেন, ‘১৯৭৩ সালের এটি উদ্বোধন হয়েছে। এরপর মানুষ-জোন বেড়েছে, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু স্টেশনেটা পরিত্যক্ত হয়েছে। সুমন রেল মন্ত্রণালয়ের প্রতি আনুরোধ জানিয়ে বলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের প্রতি আমার আবেদন থাকবে, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন শুরু করেছেন আপনারা এর ধারা বজায় রাখেন। আপনার কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করেন এবং সেগুলো উন্নয়ন করেন।’
(লাইভ দেখতে ক্লিক করুন ‘শুধু পরিত্যক্ত রেল স্টেশন চালু হলেই বদলে যেত দেশ)
লাইভ শেষে সুমন বলেন, ‘এই পরিত্যক্ত স্টেশনেগুলোকে যদি জীবন দান না করেন তাহলে মানুষের রাস্তাঘাটে চলাফেরায় শান্তি আসবে না। আপনারা তো শান্তি অন্বেষণ করেন। আপনাদের তো এটারই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ বিদায়ের আগে সুমন বলেন, ‘এটা যদি কারও চোখে পড়ে থাকে আল্লাহর ওয়াস্তে উদ্যোগ নিবেন। ধন্যবাদ।’
আই.এ/পাবলিক ভয়েস