

বগুড়ার শাহজাহানপুরে রাস্তার পাশে ও ডোবায় পড়ে থাকা বিপুল পরিমান কুচি (কাটা) করা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর একটা পর্যন্ত ১০ বস্তা কেটে ফেলা টাকা উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কোথা থেকে কিভাবে এখানে এসব কাটা টাকা এলো তা স্থানীয়রা বলতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার জালশুকা গ্রামের রাস্তার পাশে আজ মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসী বিপুল পরিমাণ ছেঁড়া টাকার নোট দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। কাটা টাকার খবর পেয়ে গ্রামের শতশত মানুষ এসে সেখানে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে পুলিশও চলে আসে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বিষয়টি জানার পর শাজাহানপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ প্রথমে ওই টাকার উৎস সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি। এ কারণে সেখান থেকে কয়েক বস্তা টুকরো টাকা নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে পুলিশ তা থানায় নেয়।
পরে গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা এবং কয়েকজন সংবাদকর্মী খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ছেঁড়াফাটা পরিত্যক্ত টাকা। তারাই পাঞ্চিং করা টাকাগুলো পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে অপসারণ করে সেখানে ফেলেছে।
এব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার নির্বাহী পরিচালক জগন্নাথ ঘোষ সংবাদ কর্মীদের জানান, বেশকিছু টাকা বাতিল এবং অপ্রচলনযোগ্য হওয়ায় তা ধ্বংস করা হয় (পাঞ্চিংয়ের মাধ্যমে টুকরো করা)।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ওই টাকাগুলো অপসারণ করার জন্য পৌরসভাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা ব্যাংক থেকে টাকাগুলো অপসারণ করে সম্ভবত সেখানে ফেলেছে।
বগুড়া পৌরসভার কনজারভেন্সি পরিদর্শক মামুনুর রশিদ জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার যুগ্ম-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাজাহান স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে পৌরসভাকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া ও খুলনা শাখার বাতিল ও অপ্রচলনযোগ্য টাকাগুলো বর্জ্য হিসেবে গৃহীত হয়েছে। সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার নির্দিষ্ট ডাস্টবিন থেকে অপসারণ করতে অনুরোধ করা হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) সনাতন চক্রবর্তী জানান, শুরুতেই টাকাগুলো নিয়ে নানা ধরনের গুজব শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল টাকা।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস