
ইসলামিক ফাউন্ডেশনে (ইফা) বোর্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম শ্রেণীর ৩ জন কর্মকর্তাকে বদলি এবং সংস্থাটির সচিব কাজী নুরুল ইসলামসহ তিন কর্মকর্তাকে শোকজের ঘটনা ঘটেছে। ইফার মহাপরিচালক ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল গত রোববার থেকে মাত্র ৩ দিনের মধ্যে পৃথক কয়েকটি আদেশে বদলি ও শোকজের নোটিশ জারি করেন। এ নিয়ে সংস্থাটিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইফার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত বৃহস্পতিবার এ ইস্যুতে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠলে থানা পুলিশ কর্মকর্তা গিয়ে বৈঠক করে তাদের শান্ত করেন।
ইফার বোর্ডের গভর্নর ও প্রশাসন সম্পর্কিত সাব কমিটির চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ওই সব সিদ্ধান্তের আদেশের ওপর বাতিল লিখে স্বাক্ষর করে দেন। ডিজির বিরুদ্ধে ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংস্থার সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ ‘বোর্ড অব গভর্নরস’কে অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইফার বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য ও প্রশাসনিক কমিটির চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন আহমেদ গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের নিয়োগ বদলি বা তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত কোনো ব্যবস্থা ডিজি নিতে পারেন না।
গত ২২ জুন সর্বশেষ বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তার পরও তিনি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাকে বদলি করেছেন। আমি সেই বদলির আদেশ বাতিল ঘোষণা করে দিয়েছি। সংস্থার সচিবসহ প্রথম শ্রেণীর অপর তিন কর্মকর্তাকে শোকজের ব্যাপারেও সিরাজ উদ্দিন বলেন, এ ধরনের শোকজের কোনো ক্ষমতা ডিজির নেই। তিনি এটি করতে পারেন না। তিনি এমন কিছু করে থাকলে সেটি কার্যকর হবে না।
এসব ব্যাপারে বোর্ডের অপর সদস্য আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমি যতদূর জেনেছি, একজন পরিচালক ডিজির অনুমতি না নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় একটি প্রোগ্রামে অংশ নিতে আসায় তার স্থলে আরেকজনকে ডিজি দায়িত্ব দিয়ে চিঠি ইস্যু করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ডিজির সাথে কথা বলেছি। আমি তাকে বলেছি, এ চিঠি ইস্যু করাটা ঠিক হয়নি। প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বদলির ব্যাপারে তিনি বলেন, আসলে বোর্ডের সিদ্ধান্তে পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ব্যাপারে ডিজি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না মর্মেই আলোচনা হয়েছিল।
বোর্ডের সিদ্ধান্তে আমাদেরও বিষয়টি আরও পরিষ্কার করা দরকার ছিল। ইফা সচিবকে বোর্ডের সিদ্ধান্তে ফাইল ফুটআপ করার জন্য শোকজ করার ব্যাপারে মিছবাহুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি যেটা জেনেছি ডিজি বোর্ডের কিছু সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন। ডিজি দাবি করছেন, তার কাছে বোর্ডের সিদ্ধান্ত আসেনি। কিন্তু আমরা তো বোর্ডের সিদ্ধান্তের কাগজে সাথে সাথেই স্বাক্ষর করে দিয়েছি।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস
		
