

তাসমিয়া ইসলাম: ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য হালাল উপার্জন শর্ত। উপার্জন হালাল না হলে আমাদের দোয়া ও ইবাদত কোনও কিছুই কবুল হয় না। তাই মুমিনের উপার্জন অবশ্যই হালাল হতে হবে, হারাম বর্জন করা। কিন্তু যথাযথ জ্ঞান না থাকায় অনেকেই জড়িয়ে পড়ে হারামের সঙ্গে। ফলে আমল ও ইবাদত কোনোকিছুই আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমাদের আমি যেসব পবিত্র রিজিক দিয়েছি, তা থেকে আহার করো। পাশাপাশি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করো, যদি তোমরা শুধু তাঁরই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭২)
বৈধভাবে উপার্জনের নির্দেশ প্রত্যেক নবীর জন্য প্রযোজ্য ছিল। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুলরা! তোমরা পবিত্র বস্তু ভক্ষণ করো এবং নেক কাজ করো।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৫১)
নবী-রসুলগণের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা নিজ হাতে কর্ম সম্পাদনকে অধিক পছন্দ করতেন। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা. জীবনে প্রাথমিক সময়ে ছাগল চরানো ও পরবর্তীতে খাদিজা রা. ব্যবসায়িক দায়িত্ব পালনের বর্ণনা পাওয়া যায়, যা নিজ হাতে জীবিকা নির্বাহে উৎকৃষ্ট প্রমাণ বহন করে।
হাদিসে এসেছে, হজরত রাফে ইবনে খাদিজা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল সা. কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সর্বোত্তম উপার্জন কোনটি? জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তির নিজস্ব শ্রমলব্ধ উপার্জন ও সততার ভিত্তিতে ক্রয়-বিক্রয় (মুসনাদে আহমাদ)।
আই.এ/