

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আল নাহিয়ান খান জয়কে। আর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লেখক ভট্টাচার্য।
এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতি পদে ছিলেন জয় এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন লেখক।
আজ শনিবার রাতে গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যানির্বাহী সংসদের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আ.লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের স্থলে দায়িত্ব পেলেন জয় ও লেখক।
ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি নানাবিধ অভিযোগ ওঠায় সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনের বৈঠকে তিনি ছাত্রলীগ থেকে শোভন ও রাব্বানীকে অব্যাহিত দেন।
বৈঠক শেষে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘আমরা আ.লীগ সভাপতি, দেশরত্ম শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। তিনি যখন যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি তা মেনে নিতে বাধ্য। আমি মনে করি ছাত্রলীগ করতে হলে সভাপতি পদেই থাকতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই।’
গোলাম রাব্বানী এ বিষয়ে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ অভিভাবক আ.লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা হাসিমুখে মেনে নেব।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ ও ১২ মে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই ছাত্রলীগের ২ দিনব্যাপী ২৯তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়। এরপর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন আ.লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও মনোনীত করেন তিনি।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস