
ডেস্ক রিপোর্ট: আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের গত মেয়াদেও ছিলেন। ৬ তারিখে ঘোষিত নতুন মন্ত্রীসভায়ও তিনি আগের মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বেই আছেন। এবার বাঘা বাঘা আওয়ামী লীগের নেতারা বাদ পড়েছেন মন্ত্রীসভা থেকে। বাদ পড়ার তালিকা বেশ বড়। প্রায় ২৩ জন ফুল মন্ত্রী বাদ পড়েছেন এবার। উপমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও নাই অনেকে।
তবে আসাদুজ্জান খান কামাল টিকে গেছেন। টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মত গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে এদেশের প্রথম সারির আলেম ওলামাদের সম্পর্ক বেশ ভালো বলেই মনে করেন অনেকে। তিনি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে ধর্মপরায়ণ। নির্বাচনি প্রচারণার সময় সবাই যখন বিভিন্ন উন্নয়ন দেখাচ্ছিলেন তখন তিনি তাঁর প্রচারণার টিভিসিতে দেখিয়েছিলেন ঢাকায় কতটা মসজিদ নির্মাণ করেছেন, কতগুলো মাদরাসা মসজিদে অনুদান দিয়েছেন ইত্যাদি।
বাংলাদেশে ধর্মীয় দাওয়াতের বিশাল মাধ্যম দাওয়াত ও তাবলীগের সমস্যা নিরসনে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলেই পাবলিক ভয়েসকে জানিয়েছেন একজন প্রথম সারির আলেম।

তাবলীগের সমস্যা সমাধানে আলেমদের সাথে বৈঠকের পর মুনাজাতে আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বিশ্ব ইজতেমার মাঠে যখন সা’দপন্থী তাবলীগীরা আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্রদের রক্ত ঝড়িয়েছিল তা দেখে তিনি সাংবাদিকদের সামনেই মর্মাহত হয়ে চোখের পানি ফেলেছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ আলেম বলেন, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদরাসার ছাত্র ও আলেম ওলামাদের বরাবরই শ্রদ্ধা ভালোবাসার নজরে দেখেন। যখন সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে কওমী মাদরাসা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হচ্ছিলো তিনি তখন জনসম্মুখে বলেছিলেন, কওমী মাদরাসায় আদর্শ সন্তান তৈরি হয়।

হাটহাজারী মাদরাসায় আল্লামা শফী সাহেবের উঞ্চ আতিথেয়তা পান আসাদুজ্জামান খান। ছবি: ২০১৮ সালের।
গত বছরের শুরুর দিকে তিনি হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের সাথে দেখাও করে এসেছিলেন। বলেছিলেন, ‘কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয় বরং আল্লামা শফী সাহেবের কাছে দোয়া নিতে গিয়েছিলেন তিনি।

হাটহাজারী মাদরাসায় আসাদুজ্জামান খান।
এছাড়াও তিনি ঢাকার বড় বড় মাদরাসাগুলোর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেকবার উপস্থিত হয়েছিলেন।
তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় অনেকের মনেই আশার সঞ্চার হয়েছে অন্তত এদেশের দাওয়াত তাবলীগের চলমান সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান তিনি দিবেন।