

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রানির অনুমোদন পেয়ে সংসদের অধিবেশন সঙ্কুচিত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। আগামী সপ্তাহে অনাস্থা ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে৷ ‘পথের কাঁটা’ হিসেবে সংসদকে নিষ্ক্রীয় করে নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ৩১শে অক্টোবর যে কোনো মূল্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করার পথে কোনোরকম বাধা বরদাস্ত করতে প্রস্তুত নন বরিস।
চুক্তিহীন ব্রেক্সিট প্রতিরোধ করতে আইন অনুমোদনের প্রচেষ্টার এক দিন পরই তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন, যাতে ব্রেক্সিটের সময় পর্যন্ত সংসদের ক্ষমতা খুবই সীমিত হয়ে পড়ে। রীতি অনুযায়ী রানি এলিজাবেথও সরকারের এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। এই অবস্থায় চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে সংসদের হাতে মাত্র কয়েক সপ্তাহ সময় থাকবে।
আগামী সপ্তাহে অধিবেশন শুরু হবার পর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংসদ মুলতুবি রাখা হবে। ১৪ই অক্টোবর রানির ভাষণের মাধ্যমে আবার অধিবেশন শুরু হবে। ফলে সময় নষ্ট না করে বিরোধীরা আগামী সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বরিস জনসনের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। লন্ডন, ম্যানচেস্টার, এডিনবরা ও অন্যান্য শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। একটি পিটিশনে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। লন্ডন শহরে সংসদের সামনে মানুষ ‘অভ্যুত্থান বন্ধ করো’ লেখা পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।তাদের হাতে ইইউ পতাকা শোভা পাচ্ছিল। বিরোধী লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বিন প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপকে গণতন্ত্র-বিরোধী হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷
আই.এ/পাবলিক ভয়েস