বেরোবিতে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০১৯

নাহিদুজ্জামান নাহিদ, বেরোবি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধি লঙ্ঘন করে একের পর এক বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিজ বিভাগ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হলে শিক্ষকদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন, ২০০৯ ( ২০০৯ সনের ২৯ নং আইন ) এর ২৮(৩) বিধি মোতাবেক- ‘যদি কোন বিভাগে অধ্যাপক না থাকেন তাহা হইলে ভাইস-চ্যান্সেলর সহযোগী অধ্যাপকের মধ্যে হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে একজনকে বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত করিবেনঃ তবে শর্ত থাকে যে, সহযোগী অধ্যাপকের নিম্নের কোন শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধান পদে নিযুক্ত করা যাইবে নাঃ আরও শর্ত থাকে যে, অন্যূন সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার কোন শিক্ষক কোন বিভাগে কর্মরত না থাকিলে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রবীণতম শিক্ষক উহার প্রধান হইবেন।’

কিন্তু গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে এই আইনের কোন তোয়াক্কাই করা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে একজন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও সহকারী অধ্যাপককে এবং ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিজ বিভাগে একজন অধ্যাপক ও দুইজন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও একজন সহকারী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ দুটিতে কর্মরত অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপকগণকে অসম্মান করা হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি গাজী মাযহারুল আনোয়ার বলেন, ‘যেভাবে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাতে বিধি এবং সংবিধি দুইটাই লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিষয়টি শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের জন্য অসম্মানজনক নয় বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্যই বিষয়টি অসম্মানজনক এবং হতাশাজনক।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তরিকুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই কাজে রাষ্ট্রের আইনের লঙ্ঘন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মর্যাদাকে অসম্মান করার অর্থ একটি স্বাধীন দেশকে অসম্মান করা।’ এই অনিয়মের ফলে অধ্যাপকদের মর্যাদাকে ক্ষূন্ন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যাবস্থাপনা বিভাগ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার নিয়ম লঙ্ঘন করা হয় নি’।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ এর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন