
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার বিসিক শিল্প নগরীর ভিতরে গড়ে উঠেছে নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা। ওই কারখানায় প্রতিদিন গভীর রাত ও ভোর রাতে তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। যা ভোলার শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ প্রশাসনের কোন ভূমিকা না থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার মৃধার হাট এলাকার বাসিন্দা মো. কামরুজ্জামান প্লাষ্টিকের মালামাল তৈরি করার জন্য বিসিক থেকে বিসমিল্লাহ প্লাষ্টিক নামে একটি কারাখানার অনুমতি নেয়। কারখানার আড়ালে তিনি গড়ে তোলেন নিষিদ্ধ পলিথিনের কারখানা। দিনের বেলায় কারখানার গেট ও দরজা তালাবদ্ধ করে বিভিন্ন বেকারীর প্লাষ্টিক লেভেল (অনুমোদিত) তৈরী করে। কিন্তু রাত ১২ টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত তৈরি করা হয় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ। সূর্য উঠার আগেই ওই সকল নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে র্যাব-৮ এই কারাখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান পলিথিনসহ কারখানার মালিক কামরুজ্জামান ও তার এক সহযোগীকে আটক করে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো নতুন করে নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির কাজ শুরু করেন।
এদিকে, বিসিকের মতো একটি শিল্প এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিনের কারখানা থাকলেও প্রশাসনের কোনো ভূমিকা না থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কারখানার মালিক মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি শুধু লেভেল তৈরী করি। কোনো পলিথিন তৈরী করি না।
ভোলা বিসিক শিল্প নগরীর কর্মকর্তা কাজী তোফাজ্জল হক বলেন, কামরুজ্জামান শুধু লেভেল তৈরীর অনুমতি নিয়েছে। পলিথিন তৈরীর বিষয়টি আমরাও জেনেছি। প্রশাসন তাকে কয়েকবার আটক ও জরিমানা করেছে। সে রাতের আধারে এ অবৈধ পলিথিন তৈরী করছেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ইতোপূর্বে আমরা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পলিথিন জব্দ করেছি। আমরা পূণরায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কারখানাটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
/এসএস

