

পাবলিক ভয়েস : পৃথকভাবে ইজতেমা করতে চায় সাদবিরোধী ও সাদপন্থীরা। ১১–১৩ জানুয়ারি সাদপন্থী ও সাদবিরোধীরা দুই পর্বে ইজতেমা করতে চান। যার প্রথম পর্ব ১৮–২০ জানুয়ারি। তবে এ ব্যাপারে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সঙ্কট কাটেনি এখনও। দুইপক্ষই পৃথকভাবে ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্তে অটল।
গত ১ ডিসেম্বর তাবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে ইজতেমা ময়দান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলাদেশে তাবলীগের বিভেদ প্রকাশ্য হয় গত বছরের বিশ্ব ইজতেমা থেকে। বিরোধিতার কারণে গতবার বাংলাদেশে এসেও ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি তাবলীগের বিতর্কিত আমীর ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী।
কওমী মাদসার আলেমদের পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম সাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আর সাদের পক্ষে আছেন ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অংশ। ধর্ম নিয়ে সাদের কিছু বক্তব্যের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
ইজতেমা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, দুই পক্ষই বিপরীতমুখী অবস্থানে আছে। দেখি কী করা যায়। সাদের অনুসারীরা ১১ জানুয়ারি থেকে ইজতেমা করতে চাচ্ছেন এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের কোনো প্রস্তুতিও নেই। একটা বড় ফোর্স মুভ করাতে হবে। সরকারেরও বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি দরকার। সেগুলো আমরা এখনও গ্রহণ করিনি। আর বড় কথা হলো, বিরোধীপক্ষ এগুলো এখন হতে দেবে না। খুনোখুনি তো হয়েছেই। একটা উত্তেজনাও রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী এখন ব্যস্ত আছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কি এ মাসে ইজতেমা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মাসের শেষের দিকে হতে পারে। আমরা চেষ্টা করব একসঙ্গে করার জন্য।
কওমী আলেমরা বলছেন, বিশ্ব ইজতেমার যে ব্যাপকতা, তার আয়োজন সাদ অনুসারীদের দিয়ে হবে না। এ ছাড়া দেশের বড় আলেম-ওলামাদের কেউ সাদ অনুসারীদের পক্ষে নেই। অন্যদিকে সাদের অনুসারীরা বলছেন, ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা অংশ নেন। সে ক্ষেত্রে তারিখ সুনির্দিষ্ট করে না দিলে তাঁদের অংশ নেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
তাবলীগ জামাতের মূল মারকাজ (কেন্দ্র) ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিনে। বাংলাদেশ মারকাজ ঢাকার কাকরাইল মসজিদে। বাংলাদেশের ইজতেমাতেই সারা বিশ্বের মুসল্লিরা জমায়েত হন। গত বছর ৮৮টি দেশের ৫ হাজার ২৪ জন বিদেশি মুসুল্লী এসেছিলেন। প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে।